বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিনিয়ত রাজ্যে বেড়ে চলেছে জঙ্গী আনাগোনা। ইটাহারের গাজ়িহার এলাকায় ধৃত জঙ্গি নিজামউদ্দিন খানের বাড়িতে আজ বিকেল থেকে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে STF৷ প্রায় একঘন্টা ধরে সেখানে নিজেদের ক্রিয়া-কলাপ সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তারা৷ এর আগে ইটাহারের মারনাই এলাকায় অন্য এক জঙ্গি আবদুল বারির বাড়িতে অভিযান চালায় STF৷ তার বাড়ি থেকে কিছু আপত্তিকর জিনিসও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর৷
গত ৩ অগাস্ট কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স দুই জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে মালদা থেকে৷ জঙ্গিদের নাম আবদুল বারি ও নিজামউদ্দিন খান। গোয়েন্দা সূত্রে বেশ কয়েকদিন ধরেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, জামাত নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছে উত্তর দিনাজপুরে। বহাল তবিয়তে সেখানে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা। এই খবর পেয়ে তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা৷ তদন্তকারীরা খবর পান, মডিউলের দুই জঙ্গি পালানোর চেষ্টায় ছিল, কিন্তু তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, দিন দিন বিঘ্নিত হচ্ছে ভারত-পাক সম্পর্ক, ইতিমধ্যেই আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আশায়, শত্রুতার সিঁড়িতে আরো একবার এগিয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তান। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সাফ জানান, ‘সন্ত্রাসবাদে খোলাখুলি মদত দেয় পাকিস্তান৷ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তারা আর্থিক সাহায্যও করে৷ পাকিস্তান যতদিন না এগুলো বন্ধ করছে ততদিন সে দেশের সাথে আলোচনার টেবিলে বসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
ইতিমধ্যে খানিকটা শান্তি ফিরেছে জম্মু-কাশ্মীরে, কিন্তু সে শান্তি বিঘ্নিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। কয়েক দিন আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রেফতার করেছিল খালিল আহমেদ এবং নাজ়িম খোকর নামে দুই পাক জঙ্গিকে। গ্রেফতারের পর ওদেরকে জেরা করে নিরাপত্তারক্ষীরা, যার ফলে উঠে আসে বেশ কিছু ভয়ানক তথ্য।
সম্প্রতি জানা গেছে কাশ্মীরে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য কষা হচ্ছে ছক। শুধু তাই নয় এই সমস্ত জঙ্গিদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কই তইবার ঘাঁটিতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সদ্য আটক হওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দেশের সেনাদের সাহায্যেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমস্ত পাক জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অশান্তি পাকাতেই অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সবই আবার আগের মতন সাধারণ অবস্থায় ফিরছে। এমনকি সরকারি কাজকর্মও চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
তবে এ শান্তি যেন সহ্য হচ্ছে না পাকিস্তানের, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ানো কাজকর্মের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘেরাটোপে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয়া দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান উস্কানিমূলক মন্তব্য দ্বারা ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।