স্কুল থেকে চুরি যাওয়া কম্পিউটার উদ্ধার তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে, গ্রেফতার অভিযুক্ত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রায় মাসখানেক আগে ২২শে মের রাতের ঘটনা। বন্ধ স্কুলঘর থেকে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় কম্পিউটার সহ প্রচুর জিনিসপত্র। চোপড়া থানার মাঝিয়ালি হাইস্কুলের এই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোড়গোল পড়ে যায় এলাকায়। কিভাবে এমন ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটল স্কুল বাড়ি থেকে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, সেই মে মাসের রাতে প্রায় দেড়টা নাগাদ দুইজন নৈশপ্রহরীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ১০-১২ জনের একদল দুষ্কৃতী স্কুলে ঢুকে কম্পিউটার রুমের তালা ভেঙে দশটি কম্পিউটার সহ প্রচুর জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ চুরির ঘটনার কথা জানিয়ে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলে চোপড়া থানার আইসি হেমন্ত শর্মা জোরকদমে তদন্ত শুরু করেন।

এরপরেই তদন্তে উঠে আসে বিষ্ফোরক তথ্য। সেই চুরি যাওয়া কম্পিউটারগুলি উদ্ধার করা হয় মোলানি গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ কাদেরের বাড়ি থেকে। চুরির ঘটনার এক মাসের মধ্যেই গত সোমবার মোট ছ’টি কম্পিউটার উদ্ধার করে পুলিশ।

ইতিমধ্যেই যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, দলের মাঝিয়ালি অঞ্চল কোর কমিটির সদস্য মহম্মদ কাদেরকে নাকি দলবিরোধী কার্যকলাপের জেরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি বলেন, “চুরির ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। মহম্মদ কাদেরকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে”।

রেশনের চাল চুরি থেকে শুরু করে আম্ফানের মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে ত্রিপল চুরির ঘটনায় বারবার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কিন্তু চোপড়া থানার মাঝিয়ালি হাইস্কুলের চুরির ঘটনায় শাসক দলের প্রতিনিধির নাম জড়িয়ে পড়তেই ফের অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যসরকার। ইতিমধ্যেই, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মহম্মদ কাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে চুরির ঘটনায় বারংবার শাসকদলের নাম জড়িয়ে পড়ার জন্য বিরোধীরা রীতিমতো তোপ দেগেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর