বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গা মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন একদল মহিলা। আর ফেরার পথেই ঘটে গেল এক বড়সড় বিপত্তি। ভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুসারীদের বিরুদ্ধে এবার পাথর ছোঁড়ার (Stone Pelting) অভিযোগ উঠল। পাথরের আঘাতে মহিলা পুণ্যার্থীরা গুরুতর জখম হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুণ্যার্থীদের উপর ছোঁড়া হল পাথর (Stone Pelting)
পুণ্যার্থীদের অভিযোগ চৈত্র নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ গত শনিবার দুর্গা মন্দিরে কলস বসিয়ে পুজো দিয়ে ফেরার পথে তাদের উপর হামলা চালায় কয়েকজন ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন। বাড়ির ছাদ থেকে পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া (Stone Pelting) হলে গোটা ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। এমনকি হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে জখমও হন কয়েকজন মহিলা পুণ্যার্থী।
আরও পড়ুন : ইটবৃষ্টি থেকে বাঁশ দিয়ে মার! ঈদের দিন তুলকালাম! অনুব্রত-কাজল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বীরভূম
একাধিক রিপোর্ট দাবি করেছে, গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিনের বাড়ির ছাদ থেকে ঘটেছে এই পাথর ছোড়ার ঘটনা। জানা যাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। একটি মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করেছে, এই ঘটনার একটি ভিডিও-ও সামনে এসেছে সম্প্রতি (ভিডিওর সত্যতা বাংলা হান্ট যাচাই করেনি)। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়ির ছাদ থেকে কিছু পুরুষ-মহিলা কয়েকজনকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ছেন।
Muslims pelted stones on Hindus as they carried out Kalash Yatra from Durga temple in Darbhanga.
Now waiting for Leftists to blame Hindus for “existing” & passing through “Muslim Areas”. pic.twitter.com/OL5JUS6Qsn
— BALA (@erbmjha) March 31, 2025
তবে, আপনাদের জানিয়ে রাখি, ঘটনাটি কিন্তু ও বাংলায় ঘটেনি। সূত্রের খবর, বিহারের (Bihar) কুশেশ্বর আস্থান থানা এলাকার কেওয়াটগামা পঞ্চায়েতের পাচিয়ারি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুশেশ্বর আস্থানথান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। জানা যাচ্ছে, এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।
আরও পড়ুন : ইটবৃষ্টি থেকে বাঁশ দিয়ে মার! ঈদের দিন তুলকালাম! অনুব্রত-কাজল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বীরভূম
গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর আগে রঙের উৎসব হোলিতেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তির খবর এসেছিল এই গ্রাম থেকে। এমনকি সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন দুই সম্প্রদায়ের অনুসারীরা। জখম হন অনেকেই। পুলিশি সমঝোতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
দ্বারভাঙ্গার এসএসপি জাগুনাথ রেড্ডি জালারেড্ডি গত শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দুর্গা মন্দিরে কলস বসিয়ে ফেরার পথে কিছু পুণ্যার্থীর উপর ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পরিস্থিতি। এখনও গ্রামে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় ঠিক কারা জড়িত সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।