বাংলাহান্ট ডেস্ক: মানবদেহের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল ফুসফুস। অবিরাম সক্রিয় থাকে এই অঙ্গ। ফুসফুসের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু বিভিন্ন কারনে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি হল খুবই পরিচিত ফুসফুসের কয়েকটি রোগ। তবে এইসব অসুখ থেকে নিস্তার পাওয়ায় সম্ভব। তার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
ধূমপান ত্যাগ করুন- ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকগুলির ব্যাপারে সবথেকে বেশি আবহিত ধূমপায়ীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধূমপান ত্যাগ করার কথা উঠলেই তারা প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যান। অথচ এই একটা অভ্যাস ত্যাগ করলেই খুব সহজে রেহাই পাওয়া যায় ফুসফুসের সমস্যা থেকে।
ধূমপান করলে শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। খুব সহজেই বাসা বাঁধে শ্বাসকষ্ট, ক্যানসারের মতো রোগ। তাই ফুসফুস বা কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকরা বলেন ধূমপান ত্যাগ করতে।
পরোক্ষ ধূমপান- প্রত্যক্ষর থেকে পরোক্ষ ধেমপিন আরও বেশি ক্ষতিকারক। তাই রাস্তাঘাটে, বাড়িতে বা গাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তাকে এড়িয়ে চলুন।
বায়ুদূষন এড়ান- বর্তমানে অত্যন্ত বেশি মাত্রিয় বেড়ে গিয়েছে বায়ুদূষন। কলকারখানার ধোঁয়া থেকে শুরু করে গাড়ির ধোঁয়া সবই বিষাক্ত। তাই পারতপক্ষে অত্যধিক দূষিত জায়গা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার- অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার যোগ করুন প্রতিদিনের ডায়েটে। পেঁয়াজ, রসুন, আপেল, হলুদ বেশি পরিমানে খান। সেইসঙ্গে খান মাছ, পনির, বাদাম। বেশি চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
গাছ রাখুন ঘরে- ঘরে গাছ রাখলে বাতাস পরিশোধন হয়। স্পাইডার প্ল্যান্ট, লিলি, অ্যালোভেরা এইসব গাছ ঘরে রাখার উপযুক্ত। ঘরে যাতে পর্যাপ্ত ফরিমানে আলো বাতাস খেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম- নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃৎপিন্ড ও পেশিতে বেশি আক্সিজেন সরবরাহ হয়। সেই সঙ্গে প্রতিদিন হাঁটলেও ফুসফুস ভাল থাকে।