ছোট মাছ খেয়ে নেওয়ার কারনে মাছের আকাল পরার ঘটনা নতুন কিছু না। এর আগে এরকম অনেকবাএর হয়েছে নদী থেকে বা সমুদ্র বা পুকুর থেকে মাছের চারা তুলে নেওয়ার জন্য মাছের আকাল পরেছে। আর মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই প্রবাদ তো আছে আমরা জানি।
কিন্তু সেই মাছ যদি ইলিশ হয় তাহলে আর কথাই নেই।কিন্তু ইদানিং ইলিশ মাছের আকাল দেখা দিচ্ছে। হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সম্প্রতি একটি প্রচার শুরু করেছেন। যেখানে তারা বলছেন ‘খোকা ইলিশ খাওয়া বন্ধ করুন, না হলে ইলিশ মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে’।ইকো পার্কে ও বিশ্ব বাংলা গেটের ঝুলন্ত রেস্টুরেন্টে ইলিশ পার্বণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিছুদিন আগে ।যেখানে শুধু মাত্র বড় সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়াগিয়েছে। এটি এক ধরনের উদ্যোগ, যেখানে মানুষকে আরও বেশি ভাবে বলে সচেতন করা সম্ভব।
মানুষকে এখানে বড় ইলিশ খাওয়ার বিষয়ে বলা হয়। বড় ইলিশ মাছের নানা রেসিপিও ছিল। ইলিশ মাছের বংশ শেষ হয়ে তা পুরো প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে যদি আমরা সচেতন না হই। কারন খোকা ইলিশ খাওয়ার ফলে মাছ বড় হতেই পারছে না। যার জন্য মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া কমে যাচ্ছে। প্রজননের আগেই মাছ ধরে খাওয়ার ফলে মাছের বংশবৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটছে। আর এরকম চলতে থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যে ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর এখানে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয় খাওয়ার মত মাছ আর থাকবে না।
একটি পূর্ণবয়স্ক ইলিশের ওজন ২.৫ কেজি হওয়া উচিত। কিন্তু বাজারে ৫০০ গ্রাম থেকে খোকা ইলিশ পাওয়া যায়। যা আপনারাও আজ থেকে খাওয়া বন্ধ করুন। নিজে সচেতন থাকুন ও লোককে সচেতন রাখুন। আগামীদিনে সুস্থ পরিবেশ আমরা নিজেরাই নির্মাণ করতে পারি সচেতন থেকে।তাই খোকা ইলিশ না খেয়ে বড় ইলিশ খাওয়াই উচিত।
Made in India