বাংলা হান্ট ডেস্ক : কর্ণাটকে (Karnataka) পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। এর ধাক্কা এখনও পর্যন্ত পারেনি পদ্ম শিবির। এরই মধ্যে তীব্র গোলযোগ দেখা দিল আর এক দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যে। হিন্দুত্বের প্রশ্নেই এবার দুভাগে ভাগ হল বিজেপি শিবির।
চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপি জিততে সবরকম প্রচেষ্টা চালাবে। কিন্তু তার আগেই আদর্শগত দ্বন্দ্বের জেরে বেশ ব্যকফুটে গেরুয়া শিবির। কর্ণাটকের পর অন্ধ্রপ্রদেশেও যদি হারের মুখ দেখতে হয়, তাহলে দক্ষিণ ভারত পুরোপুরি ভাবে বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে।
কী নিয়ে সমস্যা? অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি স্পষ্টত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বুন্দি সঞ্জয়ের গোষ্ঠী চাইছে হিন্দুত্বকেই নির্বাচনের বড় হাতিয়ার করা হোক। কিন্তু, অপরদিকে, আর একটি দল চাইছে হিন্দুত্ব থেকে সরে আসুক বিজেপি। তার জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং তাঁর দলকে আক্রমণ করা শুরু হোক। তাঁদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকেই জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক।
তাঁদের আরও দাবি, কর্ণাটকের ফলাফল চোখ তুলে দিয়েছে। শুধুমাত্র হিন্দুত্বকে সামনে রেখে দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্য জেতা সম্ভব নয়। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল আমূল বনাম নন্দিনী ডেয়ারি মামলা। কংগ্রেস নন্দিনীকে সমর্থন করে যথেষ্ট লাভ করেছে।
এরই মধ্যে, করিমনগর লোকভার সদস্য সঞ্জয় অনবরত হিন্দুত্বর প্রশ্নকেই খাড়া করতে চেয়েছে। তাঁর দাবি হায়দরাবাদের সচিবালয় দেখতে অনেকটাই মসজিদের মতো। অপরদিকে বিজেপি নেতা ইটালা রাজেন্দ্র দিল্লি পৌঁছে গেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যে। যদিও এটা পরিষ্কার নয় যে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিজেপি নতুন কোনও পথ গ্রহণ করবে কিনা।