বাড়ির কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে শুরু করেছিলেন স্বদেশী মার্বেলের ব্যবসা,এখন উনি দাঁড় করিয়ে দিলেন কোটি টাকার কোম্পানি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পরিবারের কাপড়ের ব্যবসা বাদ দিয়ে মার্বেলের (Marbel) ব্যবসা শুরু করে সাফ্যলের চূড়ায় পৌছায় এক যুবক। ১৯ বছরের অমিত শাহ (Amit Shah) পরিবারের কাপড়ের ব্যবসার চেয়ে মার্বেলের ব্যবসায় বেশি লাভ আছে বলে মনে করেন। কিন্তু কিভাবে এই ব্যবসা তিনি শুরু করবেন, সেটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ভারতে এই কঠিন কাজের তেমন প্রচলন না থাকায় তিনি বলেন, এই কাজ করার জন্য আমি অনেক দিন ধরেই উদগ্রীব ছিলাম।

IMG 20200221 164521

 

১৯৯৪ সালে প্রথম তিনি এক ব্যবসায়ী হিসাবে এই কাজ শুরু করেন। বাইরের দেশের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। এইভাবে ক্লাসিক মার্বেল কোম্পানির শুরু হয়। ধীরে ধিরে তিনি এই কাজে দক্ষতা অর্জন করতে থাকে। এই কাজে অনেক সমস্যাও ছিল। যেমন, মার্বেল তৈরির জন্য কাচামাল আমদানী, প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করা ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা। কিছুদিনের মধ্যেই অমিত এবং তাঁর সহযোগী কে এম স্বামী (K. M. Swami) মিলে এই ব্যবসা ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। ৯০০ জন কর্মচারী নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করতে থাকে।

এক সাক্ষাৎকারে অমিত জানান, শুরুতে ভালোভাবে আমি আমার নেটওয়ার্কটাকে শক্ত করে নিই। কারণ, এই ধরণের কঠিন কাজে অনেকেই এগিয়ে আসতে চায়না। কাচামাল আমদানিতেও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। ভারতীয় নীতিও এর বিরুদ্ধে ছিল। কাচামালকে সুরক্ষিত রাখাটাও সমস্যার ছিল। আমাদের স্বদেশী মার্বেল অন্যন্য কোম্পানির থেকে অনেক আলাদা। এর গুণাগুণের জন্য ৬৮ দেশেরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। যে দেশ যেমন ডিজাইন এবং আকার চায়, তাদের সেইমতো জোগান দেওয়া হয়।

সিলবাস এবংগুজরাটে (Gujrat) ৫ লক্ষ বর্গমি অঞ্চল নিয়ে এই মার্বেল তৈরি করা হয়। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীদের মাধ্যমে মার্বেল বানানো হয়। গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক এবং গুণ মানের মার্বেল একই ছাদের নিচে আমাদের কোম্পনিতে রাখা আছে। সব ধরণের মানুষদের জন্য সব ধরণের পাথর এখানে পাওয়া যায়। আমরা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতে এই ধরণের কোম্পানি বিশেষ নেই। তাই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে আমরা চেষ্টা করছি।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর