বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ রাজ্যে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এক বিতর্ক যেতে না যেতেই হাজির আরেক। কিছুদিন আগে এই খাতে মাথাপিছু সামান্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরই মধ্যে এবার বাচ্চাদের জন্য করা সেই মিড ডে মিলের ভাগ পথ-কুকুরদেরও দিতে বলে ‘বিতর্কে’ রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্যের জারি করা এক নির্দেশিকা নিয়ে এখন তুঙ্গে চর্চা।
মিড-ডে-মিলের ভাগ পাবে পথ কুকুররাও | Mid Day Meal
শনিবার ‘পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন’ রাজ্যের স্কুলগুলির উপর এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, স্কুলের সামনে যে সব পথ কুকুর আছে, তাদেরও মিড ডে মিলের ভাগ দিতে হবে। সমাজকর্মী ও পশুপ্রেমী মেনকা গান্ধীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পথ কুকুরদের মিড ডে মিল দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন শিক্ষকরা এবং মিড ডে মিল যারা তৈরি করেন তাদের একাংশ। কুকুরকে খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা, ভ্যাকসিনেশন সহ অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সহ শিক্ষকরা নির্দেশিকা সামনে আসতেই একাধিক অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তাদের কথায়, মিড ডে মিল যে বরাদ্দ, তাতে মিড ডে মিল খাওয়াতে গিয়েই সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানে কী ভাবে কুকুর খাওয়ানো সম্ভব? আবার এই পরিস্থিতিতে যেখানে স্কুলে স্কুলে শিক্ষকের অভাব সেখানে এই দায়িত্ব কে নেবে?
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/5L5XGlP4vv0?si=I8qGybNqn7ieoXI6
বর্তমান পরিস্থিতিতে কুকুরকে খাওয়াতে আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। কেউ কেউ আবার বলছেন, বেঁচে যাওয়া খাবার এমনই কুকুরদের দেওয়া হত। এই নিয়ে আলাদা করে অর্ডার বের করে বাড়তি দায়িত্ব চাপানোর কোনও দরকার ছিল না। যদিও পশু প্রেমী বিভিন্ন সংগঠন রাজ্যের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: AIIMS-এ ভর্তি হতেই অবস্থার বেশ উন্নতি! ভালো আছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি, হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন?
উল্লেখ্য, এর আগে পথকুকুর নিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের সতর্ক করতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছিল, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পড়ুয়ারা কিভাবে রাস্তার কুকুর থেকে সচেতন থাকতে পারে সেই বিষয়ে সতর্ক করতে শিক্ষকদের। পাশাপাশি বলা হয়েছিল যাতে স্কুল চত্বরে মূলত যেখানে মিড-ডে মিলের খাবার রান্না হচ্ছে, বা রাখা হচ্ছে সেখানে যাতে কুকুরের প্রবেশ আটকানো যায় তা দেখতে হবে। স্কুল শুরুর আগে এবং প্রার্থনার পরে পড়ুয়াদের রাস্তার কুকুর নিয়ে সচেতন করতে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।