বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর চীনের মধ্যে লাদাখে বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখায় জারি উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সেনা আর দেশের জন্য একটি সুখবর সামনে এলো। কয়েকমাস ধরে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে চলা শক্তিশালী ১৫৫ এমএম সারঙ্গ কামানের (Sarang gun) পরীক্ষণ সফল হয়েছে। জব্বলপুরের এলপিআর রেঞ্জে উৎপন্ন এর কামান গুলোর পরীক্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই করা হচ্ছিল।
আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৩০০ টি সারঙ্গ কামান ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রথম ক্ষেপে ৭ টি সারঙ্গ কামান সমস্ত পরীক্ষায় সফল হয়েছে। সেনার অফিসাররা এই স্বদেশী কামানের শক্তিও দেখেছে। এলপিআর রেঞ্জে এই কামান গুলোর পরীক্ষণ সম্পূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে বলে জানান সেনার অফিসাররা। উল্লেখ্য, দেশের সেনা বহুদিন ধরেই সারঙ্গকে নিজেদের রেজিমেন্টে যুক্ত করার জন্য অপেক্ষা করছিল। এই কামানের ফলে সেনার শক্তি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। পরীক্ষণে এই কামান সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে নির্ধারিত লক্ষ্য ভেদ করতে সফল হয়েছে।
এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা খরচ করে ছয়টি সেনা রেজিমেন্টের জন্য স্বদেশী পিনাকা রকেট লঞ্চার (Pinaka multi barrel rocket launcher) কিনতে দুটি স্বদেশী প্রতিরক্ষা কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। আধিকারিকরা জানান, সেনার পরিচালন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চীন এবং পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার রেজিমেন্টে এই স্বদেশী পিনাকা মিসাইল মোতায়েন করা হবে।
চুক্তিতে টাটা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড আর লার্সেন অ্যান্ড ট্যুব্রো স্বাক্ষর করেছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডকে (BEML) এই চুক্তির অংশ করা হয়েছে। BEML ভারতীয় সেনাকে রকেট লঞ্চার রাখার উপযুক্ত বাহন গুলোকে সরবরাহ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় একটি বয়ানে বলেছে যে, ছয় পিনাকা রেজিমেন্টে ৪৫ কম্যান্ড পোস্ট আর ১১৪ টি লঞ্চারের সাথে অটোমেটেড গান আইমিং অ্যান্ড পজিশনিং সিস্টেমও (AGAPS) থাকবে। বয়ানে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ এর মধ্যে পিনাকা মিসাইল রেজিমেন্টের সঞ্চালন শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এটাও বলা হয়েছে যে, ৭০ শতাংশ স্বদেশী সামগ্রী হারিতিয়ার প্রণালীতে থাকবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আর কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই পরিযোজনাকে মঞ্জুরি দিয়েছেন। পিনাকা মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমকে (MLRS) DRDO দ্বারা উন্নত করা হয়েছে। মন্ত্রালয় জানিয়েছে যে, এই গুরুত্বপূর্ণ পরিযোজনা দেশকে আত্মনির্ভর বানানোর জন্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেক্টরে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার অংশিদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।