বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) চিকিৎসা মানেই মোটা টাকা খরচ! রোগী ডিসচার্জের আগেই মিটিয়ে দিতে হয় সেই বিল (Bill)। নাহলে কখনও রোগীকে আটকে রাখা, কখনও আবার মৃতদেহ আটকে রাখার মতো অভিযোগ ওঠে। তবে এবার এসব বন্ধ করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী রাজ্য। বিল বাকি থাকলেও মৃতদেহ আটকানো যাবে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এমনই বার্তা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
মৃতদেহ আটকে রাখার দিন শেষ! কড়াকড়ির পথে রাজ্য- (Private Hospital)
সম্প্রতি রাজ্যে প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম প্রসন্ন। তিনি বলেন, ‘বাংলার নার্সিংহোমে আন্তরিকতার অভাব আছে’। তার এই কথা যে মিথ্যে নয়, এবার সেই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের সচিব আরশাদ ওয়ারশি।
আরশাদ বলেন, কোনও মুমূর্ষু রোগী বেসরকারি নার্সিংহোম/হাসপাতালে (Private Hospital) আসা মাত্রই দেখা যায় প্রচুর পরীক্ষানিরীক্ষা করানো হচ্ছে। এমআরআই থেকে সিটি স্ক্যান, কিছুই বাদ নেই। অনেকসময় দেখা যায়, প্রয়োজন নেই সেটাও করানো হচ্ছে। একদিনেই রোগীর প্রায় ৫০,০০০/৬০,০০০ টাকা বিল করে দেওয়া হয়। এটা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ SSC কাণ্ডে বড় খবর! OMR-এর তথ্য নষ্ট, অযোগ্যদের নিয়োগ করেন কারা? CBI চার্জশিটে ‘চারমূর্তি’র নাম
বহুক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, রোগী হয়তো মারা গিয়েছেন। তবে বিলের টাকা বকেয়া থাকায় তাঁর মৃতদেহ আটকে রেখেছে হাসপাতাল (Private Hospital) কর্তৃপক্ষ। প্রায় প্রত্যেক বছর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে এই নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ে। এবার এই নিয়েই কড়া নিয়ম চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, বিল বাকি থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখতে পারবে না।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের সচিব বলেন, ‘বহু বেসরকারি হাসপাতালকে ডেকে পাঠালে তারা আমাদের বলেন, আমাদের বিষয়টাও দেখুন। এত টাকা বাকি রয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মৃতদেহের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার অজুহাত সহ্য করা হবে না’। এদিকে এই নয়া নিয়ম নিয়ে চাপে পড়েছেন বহু বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
তাদের বক্তব্য, ‘নয়া আইন প্রণয়ন হলে রোগীর পরিজনরা তো ছাড় পেয়ে যাবেন। টাকা দিতেই চাইবেন না’। সেই বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। কমিশনের সভাপতি প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘বহু বেসরকারি হাসপাতাল ভাবছে এই রকম হলে তো বহু রোগীর পরিবার টাকা না দিয়ে চলে যাবে। আমরা সেই জায়গায় সবসময় আছি। বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য নয়া আইন তৈরি হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) বিল না মেটানোয় রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ প্রায়শয়ই সামনে আসে। এবার এই নিয়ে কড়াকড়ির পথে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। বিলের টাকা আদায়ের জন্য এমনটা করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতাল/নার্সিংহোমগুলির বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যেও নয়া আইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।