স্ট্রোকের লক্ষণ বুঝতে পারছেন না!  FAST টেস্ট শনাক্ত করে দেবে এই লক্ষণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রেন স্ট্রোক (Stroke)! নামটা শুনলেই মানুষের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। আজ হাসপাতালের প্রত্যেকটি বেড স্ট্রোকের (Stroke) রোগীতে ভর্তি। এমনকি এই রোগের কবলে প্রাণ হারাচ্ছন বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ। তবে একসময় বয়সের দোহাই দিয়ে এই রোগ এড়ানো গেলেও বর্তমানে এই রোগের কবলে পড়ছেন কচিকাঁচারাও। কিন্তু শুধু শুধু এই রোগ মানুষকে গ্রাস করছে না। এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। সে যাই হোক কিন্তু এই রোগের হাত থেকে বাঁচবেন কি করে এটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন!

স্ট্রোকের (Stroke) লক্ষণ বুঝবেন কি করে?

আজ এই স্ট্রোকের (Stroke) হাত থেকে বাঁচার জন্যও আধুনিক চিকিৎসা এবং উন্নত প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে। এই প্রযুক্তি, আধুনিক চিকিৎসার সহায়তায় এখন স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি এবং প্রাণহানির সম্ভাবনা কয়েকগুণ কমানো গিয়েছে। আর এই বিজ্ঞানের হাত ধরে এসেছে FAST টেস্ট। যার মাধ্যমে আগেভাগেই এই রোগ নিয়ে সতর্ক হওয়া যাচ্ছে।

গবেষকদের মতে, বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী তরুণ, তরুণী থেকে শুরু করে ৫০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকের (Stroke) প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে স্ট্রোক হয় মূলত দুই প্রকারের। অক্লুসিভ স্ট্রোক (Occlusive Stroke) এবং হেমারেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke)। তবে দুটো স্ট্রোকই (Stroke) এখন অল্প থেকে বেশি বয়সী সকলের মধ্যেই। কিন্তু এই রোগ তখনই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যখন এই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে আপনি অজ্ঞাত থাকেন। কিন্তু এবার এই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়ে দেবে FAST টেস্ট।

কি এই FAST টেস্ট জেনে নিন:

গবেষকদের মতে এই টেস্টের চারটি ধাপ রয়েছে। যা আপনি ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন। স্ট্রোকের দ্রুত চিকিৎসা করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চারটি ধাপের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে:

F অর্থাৎ Face Droping (মুখ বেঁকে যাওয়া):

স্ট্রোকের ( Stroke ) ক্ষেত্রে সবার আগের লক্ষ্য করুন রোগীর মুখের দিকে। মুখের কোন অংশ ঝুলে গেছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গবেষকদের মতে, হাসির সময় যদি মুখের কোন একটি অংশ ঝুলে যায় কিংবা কথা বলার সময় ও একই দেখেন তাহলে সতর্ক হয়ে যান।

আরও পড়ুন : সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে চান? মেনে চলুন কালাম স্যারের ৬টি নীতি

A অর্থাৎ Arm Weakness (হাতের দুর্বলতা):

এছাড়া স্ট্রোকের সময় রোগীর হাত কিংবা বাহু দুর্বল হয়ে যেতে থাকে। গবেষকদের মতে এই সমস্ত রোগীরা কখনোই দুটি হাত একসাথে তুলতে পারেনা। কোন না কোন হাতে সমস্যা দেখা দেবেই দেবে। বা দেখা যায় সেই হাত তুলে রাখার ক্ষমতা বা শক্তি কোনটাই নেই। অর্থাৎ তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এটি হচ্ছে ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ।

S- Speech Difficulty (কথা বলার সমস্যা):

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় নজর রাখবেন সেটি হচ্ছে কথা বলায় সমস্যা। যেহেতু স্ট্রোকের সময় মাথায় আঘাত পড়ে তাই কন্ঠনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রোগীর কথা অস্পষ্ট হতে থাকে, কথার পিঠে কথা জড়িয়ে যায়। এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখলে সাবধান হয়ে যান।

Stroke

T অর্থাৎ Time to Call Emergency (জরুরি অবস্থায় ডাক):

এই তিনটি লক্ষণ যদি রোগীর মধ্যে দেখা যায় তৎক্ষণাৎ রোগীদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে যান। এমনকি অবিলম্বে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে ভর্তি করানো উচিত। প্রথম দিকে সতর্ক হয়ে গেলে, রোগীর আর কোনো সমস্যা থাকে না পাশাপাশি মৃত্যুর হাত থেকেও বেঁচে যায়।

এটিই হচ্ছে স্ট্রোকের চিকিৎসার প্রথম ধাপ। এই প্রথম ধাপেই যদি আপনি রোগীর রোগ সম্পর্কে ধরে নেন, তাহলে আপনার জীবন মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে বেঁচে যায়।

ad

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর