বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুগলি (Hoogly) জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অপরাধে এই মুহূর্তে রয়েছেন ইডি হেফাজতে। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শান্তনুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। সেই আসনে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন দেবী প্রসাদ রক্ষিত।
এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করেছেন দেবী প্রসাদ। দলের এই ‘আদি’ সৈনিকের উপরে এবার ভরসা রাখল তৃণমূল। এই আসনে পদ্ম শিবির প্রার্থী করেছে একদা তৃণমূলের বাপ্পাদিত্য ঘড়ুইকে। বাপ্পাদিত্য গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগ দেন বিজেপিতে। যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যও হন তিনি।
পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, চাকরির জন্য শান্তনুকে আবেদন করেছিলেন বাপ্পাদিত্য। তবে বাপ্পাদিত্যর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চান শান্তনু। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায় চাকরি জোটেনি তৃণমূলের বাপ্পাদিত্যর ভাগ্যে। তারপরই তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন বাপ্পাদিত্য।
হুগলি জেলা পরিষদের এই ৩৬ নম্বর আসনে দেবী প্রসাদ বনাম বাপ্পাদিত্যর জোরদার লড়াই হলেও, পরোক্ষভাবে ভোটে যেন লড়াই করছেন শান্তনুও। তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার বাসিন্দা তথা শিক্ষক প্রিয়তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সবথেকে বেশি হুগলি জেলার নাম উঠে এসেছে। একই সাথে উঠে এসেছে এই এলাকার নাম। তাই এই এলাকায় পরোক্ষভাবে কিন্তু শান্তনুর একটা প্রভাব রয়েই গিয়েছে।”
পদ্ম শিবির এই এলাকায় মূলত দুর্নীতিকে ইস্যু করেই প্রচার চালাচ্ছে। বিজেপির প্রচারে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বারবার উঠে আসছে কুন্তল ঘোষের নামও। এই এলাকার বিজেপি প্রার্থী বাপ্পাদিত্য তার প্রচারে বারবার টেনে আনছেন শান্তনুর নাম। শান্তনুর জন্য ঘাসফুল শিবির রীতিমতো চাপে এই এলাকায়।
বাপ্পাদিত্যর কথায়,”এক সময় আমিও তৃণমূলে ছিলাম। শান্তনুর সাথেও কাজ করেছি। ওর সাথে যারা মিছিলে হাঁটতো, ঝান্ডা ধরতো তাদের থেকেও টাকা নিয়েছে।” অপরদিকে তৃণমূল প্রার্থী দেবী প্রসাদের বক্তব্য, “কারোর নামে কখনো আসন হয় না। উন্নয়নের পক্ষেই আমরা ভোট চাইছি। আমরা ভোট চাইছি দিদির নামে। বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের নামে ভোট চাইছি আমরা।”