বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাত্রছাত্রীদের যাতে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে খরচের কারণে সমস্যায় না পড়তে হয় সেই কারণেই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের (Students Credit Card) ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এবার সেই কার্ডের ভরসাতেই এমবিএ পড়তে গিয়ে চরম বিপাকে এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়িতে। স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ফিরিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ফলে আপাতত কলেজের ফি মেটাতে পথে বসার জোগাড় পরিবারের।
জানা যাচ্ছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজে এমবিএ পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন সিউড়ির বাসিন্দা অমিতাভ মোহান্ত। গতবছর নভেম্বর মাসে আবেদন করার পর মাস খানেকের মাথায় ১৮ ডিসেম্বর তাঁর হাতে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড তুলে দেন খোদ বীরভূমের জেলাশাসক। এরপরই স্থানীয় ইউকো ব্যাঙ্কে লোনের জন্য আবেদন জমা দেন অমিতাভ। কিন্তু এতদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয় যে লোন দেওয়া যাবে না তাঁকে।
অমিতাভের অভিযোগ, সরকার গ্যারেন্টার থাকা সত্ত্বেও তাঁর দাদুকে গ্যারেন্টার হিসেবে সই করাই ব্যাঙ্ক। কিন্তু এতকিছুর পরও মেলেনি ঋণ। শেষ মেষ ব্যক্তিগত ভাবে ধার নিয়ে কলেজের ফিজের দেড় লক্ষ টাকা মেটাতে হয়েছে পরিবারকে। আর এই বিপুল পরিমাণ টাকার ঋণ নেওয়ার ফলে আপাতত যে চরম আর্থিক অনটনের মুখে ওই ছাত্রের পরিবার, তা বলাই বাহুল্য।
ওই ছাত্রের বাবা পেশায় বাস কন্ডাকটর। বাড়িতে মা গুরুতর অসুস্থ। উচ্চ শিক্ষার পর জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সংসারের হাল ফেরাতে চেয়েছিলেন অমিতাভ। কিন্তু দিনের পর দিন ব্যাঙ্কে ঘোরার পরও হেনস্থা ছাড়া মিলল না কিছুই। অমিতাভের অভিযোগ, ‘গ্যারেন্টার হিসেবে দাদুকে দিয়ে কাগজপত্রে সই করায় ব্যাঙ্ক। এমনকি মাধ্যমিকে আমার নম্বর কম থাকায় মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দিতে বলা হয়। কিন্তু তার পরেও লোন দেওয়া হয়নি।’ বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চরম সংকটে পরিবার। যদি লোনই না দেওয়া হবে৷ তাহলে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডেরই বা দরকার কী, আপাতত সরকারের দিকে এই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন আশাহত অমিতাভ মোহান্ত।