বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এক অতিসাধারণ ব্যক্তি হয়েও অস্ট্রেলিয়ায় একটি বহুজাতিক কোম্পানি স্থাপন করেছেন। একসময় যে ব্যক্তি 4 মাসে 170টি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, তারপরে পেট চালানোর জন্য বিমানবন্দরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সাথে কাজে যোগ দিয়েছিলেন,সংবাদপত্র বিতরণ করেছিলেন, তিনিই আজ কোটিপতি। আজ তার ডিজিটাল সমাধানের কোম্পানি নতুন নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে চলেছে।
আমরা আমির কুতুবের কথা বলছি। আমির মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণির পর তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়ার সময়ও তার মনে হয়নি তিনি ভবিষ্যতে একজন প্রযুক্তিবিদ হবেন। এ সময় 2011 সালে ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সম্পাদকও নির্বাচিত হন আমির।
পড়াশোনা শেষ করে দিল্লিতে হোন্ডা কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে কাজ ভালো না লাগার জন্য শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া চলে যান। সেখানে 4 মাসে 170টি কোম্পানিতে আবেদন করলেও কোথাও কোনো সাফল্য আসেনি। কিছু বুঝতে না পেরে বিমানবন্দরেই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। পেট চালানোর জন্য সংবাদপত্রও বিতরণ শুরু করেন।
এরপর বহু চেষ্টা করে আমির একটি ডিজিটাল সলিউশন কোম্পানি শুরু করেন। এই কোম্পানিটি আজ 7টি দেশে তাদের পরিষেবা প্রদান করছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ইয়াং বিজনেস লিডার অফ দ্য ইয়ার সম্মানও পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার জিলংস অথরিটির সদস্য তাকে তার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।