‘মিথ্যে মামলায় বাবাকে জেলে পাঠিয়েছে’, সবুজসাথীর সাইকেল নিতে অস্বীকার ছাত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নামে অভিযোগ করে রাজ্য সরকারের সবুজসাথী (sabuj sathi) সাইকেল প্রত্যাখ্যান করলেন বীরভূমের এক ছাত্রী। অন্যান্য বিদ্যালয়ের মত এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ যে সবুজসাথী সাইকেল স্কুলে এসেছিল, তা নিতে অস্বীকার করল মৌতৃষা দে।

ঘটনাটি বীরভূমের মল্লারপুর থানার ভগবতীপুর গ্রামের। সেখানকার বাসিন্দা মৌতৃষা দে কুসুমি হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার তাদের বিদ্যালয়ে সবুজসাথীর সাইকেল দেওয়ার দিন ঘোষণা করে ছাত্রছাত্রীদের মল্লারপুরে ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লক কিষান মান্ডিতে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়।

ivsnnsj

অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয় মৌতৃষা দে। কিন্তু অন্যরা সাইকেল নিতে গেলেও, সে যায় সাইকেল না নেওয়ার চিঠি জমা দিতে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর নামে অভিযোগ জানিয়ে সবুজসাথীর সাইকেল নিতে অস্বীকার করে মৌতৃষা।

 

সে চিঠিতে লেখে, ‘গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর মমতা ব্যানার্জির পুলিশ বিনা দোষে মিথ্যে মামলায় আমার বাবা সুশান্ত দেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আমার বাবাকে শুধু শুধু মল্লারপুর, মাড়গ্রাম, নলহাটি ও তারাপীঠ থানায় নিয়ে যায়। তারপর ৩৫ দিন পর বাবাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যে সরকার মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ, এমনকি বিদ্যালয়ে পৃথক শ্রেণীকক্ষ তৈরি করতে পারে না মেয়েদের জন্য, তাঁর দেওয়া সাইকেল আমি নেব না’।

vkbnn

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রীকান্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘মৌতৃষা তা ব্যক্তিগত কিছু কারণ লিখিত ভাবে জমা দিয়ে সবুজসাথীর সাইকেল নিতে অস্বীকার করেছে। এই বিষয়টা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব’।

মেয়ের এই কাজ দেখে অভিভূত বাবা বলেছেন, ‘মেয়ের সাইকেল না নিতে চাওয়ার বিষয়টাকে আমি সম্পূর্ণ সমর্থন জানাই। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। তারা আমার মেয়েকে প্রকৃত শিক্ষা দেওয়ার কারণেই আমার মেয়ে মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছে এবং এইভাবে প্রতিবাদ করতে পেরেছে’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর