বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় এখন চলছে রাস্তা অবরোধ কাণ্ড। কোথাও নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে অবরোধ৷ কোথাও বা পাশ কারানোর দাবিতে আটকে রাখা হচ্ছে রাস্তা। পাশ করাতেই হবে উচ্চ মাধ্যমিকে। এই দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অকৃতকার্য পড়ুয়ারা। কোথাও আবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে পাশ না করালে আত্মহত্যা করবে। বনগাঁ, ওদলাবাড়ি, সাঁইথিয়া, এমনকি সল্টলেকেও এই দাবি জোরালো হয়েছে। বাদ গেল না উত্তরবঙ্গও। জলপাইগুড়িতে এরকমই এক বিক্ষোভ চলছিল। সেই সময়ে বেধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড।
সোমবার জলপাইগুড়ির কদমতল মোড় অবরোধ করে কদমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। দাবি সেই একই। পাশ করাতেই হবে, তা সে যে করেই হোক। অবরোধের কারণে রাস্তায় আটকে পড়েন বহু মানুষ। এলাকায় একরকম অচলবস্থাই তৈরি হয়ে যায়। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে পথচারীদেরও। অনেকেই বলতে থাকেন, আমাদের আমলেও ফেল করতো অনেকে। এর জন্য এভাবে রাস্তা আটকে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করতো না। তোমরা কেন এসব করছ?
সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে বেশ কিছু ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করা ছাত্রছাত্রীরা কেউ বলতে পারছেন না ‘আমব্রেলা’-র বানান কেউ বা জানেন না ‘উচ্চমাধ্যমিকের’ বানানও। এখানেও ঘটনাটা সেইরকমই ঘটে। পথচারীদের মধ্যে কয়েকজন অবরোধকারী ছাত্রীদের প্রশ্ন করেন, হায়ার সেকেন্ডারি বানান কী? অনেকেই তা বলতে পারেনি।
এতেই এক পথচারী ধৈর্য হারিয়ে বলে ফেলেন, সারাক্ষণ ফেসবুক আর ইউটিউব নিয়ে বসে থাকলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবে কিভাবে? ওই পথচারীর মন্তব্যেই বেঁধে যায় একেবারে ধুন্ধুমার কান্ড। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজক হয়ে পড়ে যে ওই পথচারী মেয়েদের মারতেও তেড়ে যান। এতেই চরমে ওঠে উত্তেজনা। শেষপর্যন্ত পুলিস এসে কোনও ভাবে সামাল দেয় পরিস্থিতি। একপ্রকার জোর করেই সরিয়ে দেওয়া হয় অবরোধকারী ছাত্রীদের।