বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ( corona virus) লকডাউনে ( lockdown) যখন খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত তখন তাদের দুমুঠো অন্নের সংস্থান করছে বারাসাতের ( barasat) ছাত্ররা। সোহম, প্রীতম, অর্কপল, অরিত্ররা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে গত ১ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে শুধু মানবিকতার তাগিদেই।
‘বারাসাত পিপলস্ কিচেন’ ১০০ দিয়ে শুরু করে আজ ১০০০ মানুষের জন্য খাবার তৈরি করছে। বারাসাতে তাদের দুটি এলাকায় রয়েছে তাদের এই ‘কিচেন’, একটি দক্ষিণপাড়ায় আর একটি মৎসপল্লীতে। প্রায় ১০০ জন মহিলাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনও বিতরণ করেছে তারা।
প্রায় প্রতিদিনই ৫০০র বেশি মানুষ আমাদের থেকে খাবার নেন। আর্থিক অসঙ্গতি থেকে বৃষ্টির ভ্রুকুটি কিছুই হার মানাতে পারেনি। লোকসংখ্যা সীমিত, হিমশিম খেতে হয় ভিড় সামলাতে। তবুও প্রতিদিন ওদের ভরা পেটের হাসি মুখ দেখেই পরের দিনের উৎসাহ পায় পায়েল, শঙ্খদীপ, জয়ন্তরা।
ওদের কথায়; ‘ফসলের সুষম বণ্টন’ হয়নি বলে, আজ দেশজুড়ে ‘ক্ষুধা’ ছেয়ে গেছে গরীবের ঘরে ঘরে। কোনো পার্টি-সংগঠন নয়, শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রী-যুব পরিচয়ে আমাদের এই স্বাধীন উদ্যোগ; ত্রাণ/দাক্ষিণ্য নয়; সময়ের কর্তব্য পালন করা মাত্র। ‘শারীরিক দূরত্ব’ এবং তার সাথে অবশ্যই ‘সামাজিক সংহতি’।