রবীন্দ্রভারতীর এবারের দোল উৎসব রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীদের গায়ে আবির দিয়ে লেখা অশ্লীল শব্দ। যার প্রতিবাদে গর্জে উঠছে বাংলার সংস্কৃতিমনস্করা। অভিযুক্তরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত, ইতিমধ্যেই সে তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও একটাই প্রশ্ন উঠছে যে, কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আমাদের সংস্কৃতি?
একদিকে যখন নেটদুনিয়া রবীন্দ্রভারতী ইস্যু নিয়ে সরগরম। আর সেই নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানালো খড়গপুর ট্রাইবাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রীরা। এক অভিনব পদ্ধতিতে এই খারাপ জিনিসের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চারজন ছাত্রী তারা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। আর তাদের উন্মুক্ত পিঠে লেখা ‘কবি গুরু ক্ষমা করেন’। কথায় আছে প্রতিবাদের ভাষা ও কখনো অশ্লীল হওয়া ঠিক নয়। কেন কি সেক্ষেত্রে যারা ভুল করে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও পার্থক্য থাকেনা। তখন সংশ্লিষ্ট ইস্যুর হয়ে সুর চড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মুখ খুললেন রোদ্দুর রায়ের সমর্থনে।তসলিমা নাসরিনের কথায়, “সে মনে করে দারিদ্র অশ্লীল, প্রতারণা অশ্লীল, ঘৃণা অশ্লীল, হত্যাকাণ্ড অশ্লীল, যুদ্ধ অশ্লীল। সে মনে করে মানুষের তৈরি শব্দ অশ্লীল নয়। শব্দ কারও ক্ষতি করে না। যে ভদ্রলোকেরা এই শব্দগুলোকে অশ্লীল বলছে তাদের অনেকেই হয়তো মনে মনে এইসব শব্দ বহুবার উচ্চারণ করে। ঘরে অথবা বাইরে বলে। কিন্তু লেখে না। বাইরে একটা নকল সমাজ, নকল সাজ, নকল হাসিই দেখতে চায় সবাই” ।
রবীন্দ্রভারতীর দোল উৎসব বিতর্কে তসলিমা যে শুধু রোদ্দুর রায়ের সমর্থনেই কথা বলেছেন, তা কিন্তু নয়! বিঁধেছেন সমাজের চিন্তাধারাকেও। আজকের সমাজব্যবস্থা, মানুষের চিন্তাধারণাও অনেকাংশে এর নেপথ্যে দায়ী। আধুনিক হওয়ার স্বপ্ন দেখি, পাশ্চাত্যকে অনুকরণ করার চেষ্টা করি।এর পাশাপাশি বাংলার অনেক মানুষ এই খারাপ কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ছাত্র ছাত্রী থেকে শিক্ষক প্রত্যেকের কাছে এটাই নিন্দাজনক। আর তার ওপর এই নতুন করে প্রতিবাদ আমাদের ভাবিয়েছে এখনো মানবিকতা চলে যায় নি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা