বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তপ্ত যাদবপুর (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘা এখনও দগদগে। এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি সেই বিভীষিকা। এরই মধ্যে একাধিক ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ঘেরাও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। পড়ুয়াদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা-কাটাকাটিও চলে তাঁর। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য।
আলোচনার কথা দেন উপাচার্য : কলেজ ক্যাম্পাসে সিসিটিভি-সহ একাধিক বিষয়ে একাধিক ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান। পড়ুয়াদের দাবি, সেই অনুযায়ী সোমবার সময়ও দেন উপাচার্য। তবে তারপরও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কথা না বলেই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পড়ুয়ারা তাঁর গাড়ি আটকায়। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
চলে তুমুল বাকবিতণ্ডা : অবশ্য উপাচার্য দাবি করেন, আলোচনার জন্য কাউকে সময় দেননি তিনি। সে কারণেই বেরিয়ে যাচ্ছেন। এরপর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপাচার্য। বেশ খানিকক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ফের নিজের ঘরে ফিরে যান উপাচার্য। একাধিক ছাত্রসংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
খালি মদের বোতলে ভর্তি ক্যাম্পাস : শনিবার প্রায় একমাস পর সাফাইকর্মীরা প্রবেশ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। গেট বন্ধ থাকায় আসতে পারেননি, কর্তৃপক্ষের তরফে আবেদন জানাতেই এসেছেন। তাতে যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে খালি মদের বোতল মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। একমাস পর, সাফাই কর্মীরা পরিষ্কার করতে এসে প্রচুর মদের বোতল ও নেশার সামগ্রী উদ্ধার করেন। ১০ অগাস্ট, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে মেলে প্রচুর খালি মদের বোতল। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। দায়িত্বভার নিয়ে ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে সাফাই অভিযানে জোর দেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এর পর আজ বিশ্ববিদ্যালের ওপেন এয়ার থিয়েটার থেকে উদ্ধার হল প্রচুর খালি মদের বোতল পাওয়া গেছে।
তৃতীয় নোটিশ শিশু সুরক্ষা কমিশনের : ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তৃতীয় নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিশন। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পর, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, তৃতীয় নোটিসে তা জানতে চেয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।