বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন বছরে সরস্বতী পুজোর দিন থেকে ভারতীর ইতিহাসের সঠিক সংস্করণ (Corrected History) পড়তে পারবেন ভারতের পড়ুয়ারা। ঠিক এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। কিসের ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তিঁনি? শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তৈরী হয়েছে জল্পনা।
চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ (ICHR) এবং আরএসএস অনুমোদিত ‘সর্বভারতীয় ইতিহাস সংকল্প যোজনা’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতের ইতিহাস সংস্করণের বিষয়টি তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিঁনি জানান, ‘বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে সারাদেশে ছাত্রদের হাতে ভারতীয় ইতিহাসের সংশোধিত সংস্করণ তুলে দেওয়া হবে। নতুন বিষয়বস্তু সমেত বই পুনঃপ্রকাশিত হচ্ছে। এই বইগুলি ভারত সম্পর্কে বিশ্বকে স্পষ্ট ধারণা দেবে। এই বইগুলো ডিজিটাল মোডেও পাওয়া যাবে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই নতুন করে ভারতের ইতিহাস লেখার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ’। ‘কম্প্রিহেন্সিভ হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’ নামক এক প্রোজেক্টের মাধ্যমে নতুন করে ভারতের ইতিহাস জনসমক্ষে আনতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সংস্কৃত বা ভারতীয় ভাষার ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। দেশের ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণরূপে ‘ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ মুছে ফেলতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি । ‘ভুল’ শুধরে ‘বাদ পড়া’ অংশগুলি যুক্ত করা হবে ভারতের ইতিহাসে।
এদিন অনুষ্ঠান থেকে ঠিক কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী? শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে সারাদেশে ছাত্রদের হাতে ভারতীয় ইতিহাসের সংশোধিত সংস্করণ তুলে দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি আমাদের অনেক সুযোগ প্রদান করবে। নয়া শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মাতৃভাষাকে প্রাধান্য না দিয়ে শিক্ষা প্রদান অর্থহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে আমাদের একটি নতুন বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে হবে। তাই নতুন বিষয়বস্তু সমেত বই পুনঃপ্রকাশিত হচ্ছে।’ শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরে কৌতুক তৈরী হয়েছে সমস্ত মহলে।