বাংলাহান্ট ডেস্ক: বগটুই কাণ্ড (Bagtui Massacre) নিয়ে দুদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। কয়েকজন ঘুমন্ত মানুষদের বাইরে থেকে ঘরে আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের কয়েক ঘন্টা পরেই ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। বিরোধীদের আঙুল তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন রকম দাবি শোনা যাচ্ছে।
কেউ বলছেন, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন। কারোর দাবি, নেহাতই গ্রাম্য বিবাদ। কিন্তু এতগুলি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অদ্ভূত ভাবে চুপ বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। কবীর সুমন থেকে কাঞ্চন মল্লিক, দেব থেকে সুবোধ সরকার, মুখে কুলুপ এঁটেছেন সকলেই।
শিল্পী শুভাপ্রসন্নও (Subhaprasanna) ছিলেন ওই দলেই। তিনি দাবি করেছিলেন, মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টা নিয়ে কিছুই জানেন না তিনি। তবে বুধবার টিভিনাইন বাংলাকে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলায় অনেক কিছুই ভাল হচ্ছে।
তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কত সৌভাগ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনেক কিছু ভাল হচ্ছে। কিন্তু তাও বিরোধীরা নানা রকম ভাবে সুযোগ নিচ্ছে।” বগটুই কাণ্ডে রাজনৈতিক প্রতিশোধ স্পৃহার তত্ত্ব উঠে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিসের সামনেই আগুন লাগানো হয়েছিল ঘরে। এতেই তৃণমূলের দিকেই যাচ্ছে অভিযোগের তীরটা।
মানুষের মৃত্যু সমর্থন যোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে শুভাপ্রসন্নর দাবি, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমন ভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বিরল। এমন ঘটনাগুলো বন্ধ হয়ে উচিত বলে মন্তব্য করেন শিল্পী। তবে ঘটনাটি কেন ঘটল তা তদন্ত সাপেক্ষ বলেই মত শুভাপ্রসন্নর।
অন্যদিকে বিষয়টা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে মুখ কুলুপ এঁটেছেন তৃণমূলের সাংসদ অভিনেতা দেব। তিনি ব্যস্ত আগামী ছবির প্রচারে। সবুজ শিবিরের অন্য দুই তারকা বিধায়কও কোনো মন্তব্য করেননি। জুন মালিয়া বলেন, তিনি শুটিং ফ্লোরে ব্যস্ত। ফোনে কথা বললে নাকি ‘বকা’ দেবে!
একই বক্তব্য কাঞ্চন মল্লিকেরও। শাসক দলের বিধায়কও জানান, তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত। ফোন ধরেছেন বলে শুটিংটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে এ বিষয়ে মতামত দেবেন বললেও ‘পরে’টা আর আসেনি।