বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে টলিউডে ১৬ টা বছর কাটিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)। বর্ধমানের মফস্বল থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন তিনি। প্রেম কি বুঝিনি, চ্যালেঞ্জ, খোকা ৪২০, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে-র মতো ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজস্ব একটা ব্র্যান্ড তৈরি করেন শুভশ্রী। এইসব ছবির সাফল্যই তাঁকে প্রথম সারিতে স্থান দেয়।
কিন্তু শুভশ্রীকে বহুদিন মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে দেখা যায় না। নিজের কাজের ধরণ বদলে এখন পরিণীতা, বিসমিল্লাহ, হাবজি গাবজি, বৌদি ক্যান্টিনের মতো ছবির জন্য হ্যাঁ বলছেন তিনি, যেখানে অভিনয়টাই সবথেকে বেশি ফোকাসের বিষয়। আগামীতেও ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ সিরিজে দেখা যাবে শুভশ্রীকে যার ট্রেলার ইতিমধ্যেই চমকে দিয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী বলেন, আগে মানুষের ধারণা ছিল তিনি অভিনয় পারেন না। তাই কেউ সুযোগই দিত না। কিন্তু রাজ চক্রবর্তী প্রথম সাহস দেখিয়েছিলেন যে এই মেয়েটাও অভিনয় পারে। শুভশ্রী বলেন, ‘পাঠান’এ দীপিকার মতো চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। শুধু তাই নয়, ‘চ্যালেঞ্জ’ অভিনেত্রী বলেন, তিনি এখন ‘কবীর সিং’ এর মতো রগরগে প্রেম চান।
কেরিয়ারের শুরুতে এসভিএফের প্রযোজনায় বহু ছবিতে কাজ করেছেন শুভশ্রী। কিন্তু তারপর থেকে রাজের প্রযোজনা সংস্থাতেই বেশি দেখা যেতে তাঁকে। বিয়ের পর তো রাজের সঙ্গেই বেশিরভাগ কাজ করেছেন শুভশ্রী। অনেক বছর পর ইন্দুবালার হাত ধরেই আবার এসভিএফের ঘরে ফিরলেন তিনি।
এই প্রথম ওয়েব সিরিজের দুনিয়ায় পা রাখছেন শুভশ্রী। তাও আবার বেশ চ্যালেঞ্জিং চরিত্র দিয়ে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন শুভশ্রী। তাঁর কথায়, তিনি এমনি চরিত্র করতে চেয়েছিলেন যা শিল্পী হিসেবে তাঁকে তৃপ্তি দেবে। ইন্দুবালা চরিত্রটি ফিরিয়ে দিলে তাঁর থেকে বড় বোকা কেউ হত না, বক্তব্য শুভশ্রীর।
অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তিনি ইন্দুবালা না হয়ে যদি অন্য কোনো অভিনেত্রী হতেন, তাহলে কাকে দেখতে চাইতেন শুভশ্রী? তাঁর চটজলদি উত্তর, ‘নিজেকে ছাড়া আর কাউকে এই চরিত্রটায় আমি দেখতেই পাচ্ছি না। পরিচালক দেবালয়ও আমাকে এটাই বলেছিলেন। ইন্দুবালা শুধু আমিই’।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা