বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)। কিন্তু শেষ কয়েকটি ছবিতে একেবারে ডিগ্ল্যাম অবতারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরিণীতার পর আগামীতে ধর্মযুদ্ধ, বৌদি ক্যান্টিন ছবিতেও পাশের বাড়ির মেয়ের লুকেই ধরা দেবেন রাজ ঘরণী। মূলধারার ছবিতে অভিনয় করতে করতে এখন একটু স্বাদ বদলেছেন শুভশ্রী।
পরিণীতার পর হাবজি গাবজিও ভালোই চলেছে। তবে দরকার পড়লে আবারো বাণিজ্যিক ছবিতে ফিরতে রাজি তিনি। সেখানে হয়তো আবারো দর্শকরা ফিরে পাবেন আগের চেনা শুভশ্রীকে। দীর্ঘদিন ধরে টলিউডে রয়েছেন তিনি। ঋতুপর্ণা, দেড়শ্রী, শতাব্দীদের পরবর্তী প্রজন্মে শুভশ্রী, শ্রাবন্তীর মতো অভিনেত্রীরাই হাল ধরেছিলেন টলিউডের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মুখ খোলেন নিজের অভিনয় সফরটা নিয়ে। অতীতের সফরটাও যেমন সুন্দর, তেমনি এখনকার সময়টুকুও তাঁর প্রিয়। ভবিষ্যৎটাও তাঁর পক্ষেই থাকবে বলে বিশ্বাস শুভশ্রীর।
আগামীতে বৌদি ক্যান্টিন ছবিতে দেখা যাবে শুভশ্রীকে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছবিতে বৌদি রূপে ধরা দেবেন তিনি। পৌলমী চরিত্রটিও বেশ অন্য ধারার। নারী স্বাধীনতা এবং সমাজে পুরুষ ও নারীর সমানাধিকারের ব্যাপারটাও খুব স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠবে বলে মত শুভশ্রীর।
যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো বৌদি হয়ে ওঠেননি রাজ ঘরণী। আসলে তাঁকে বৌদি বলে ডাকার সাহসটাই কারোর নেই বলে মত শুভশ্রীর। তবে টলিউডে তাঁর খুব প্রিয় একজন ভাসুর রয়েছেন। তিনি রুদ্রনীল ঘোষ। রাজনৈতিক মতামত আলাদা হলেও রাজের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব রুডির। আর সেই সূত্রে শুভশ্রীর সঙ্গেও দাদা বোনের সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে অভিনেতার। এমনকি বিয়েতে নাকি ভাসুর হিসাবে শুভশ্রীকে আশীর্বাদও করেছিলেন রুদ্রনীল।
বৌদি ক্যান্টিন ছবির অনুপ্রেরণা ব্রিটিশ ভারতীয় শেফ আসমা খান। লন্ডনে একাধিক রেস্তোরাঁর মালকিন এখন তিনি। ছবির পৌলমী হয়ে ওঠার জন্য হাতা খুন্তি ধরতে হয়েছে শুভশ্রীকেও। বিয়ের আগে টুকটাক রান্নবান্না করতেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর কুটোটিও নেড়ে আলাদা করতে হয় না অভিনেত্রীকে।
স্বামী রাজ, শাশুড়ি মা কেউই নাকি তাঁকে আগুনের আঁচের সামনে যেতে দেন না। শুধু রাজ বা ইউভানের জন্মদিনে পায়েসটুকু রাঁধেন তিনি। তাই অভ্যাস হারিয়ে গিয়েছে। ছবির শুটিংয়ে অবশ্য গরমের মধ্যেই আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে রাঁধতে হয়েছে শুভশ্রীকে। তবে বেশ মজাই পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নতুন রান্নাও শিখে গিয়েছেন শুভশ্রী।