বাংলা হান্ট ডেস্ক : টলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী। সকলেই একনামে চেনেন। তবে তিনি দেখতে যতই মিষ্টি হোন না কেন, তার স্বভাব কিন্তু মোটেই শান্ত নয়। চিরকালের ডানপিটে তিনি আর নিজের এই ব্যক্তিত্বের কথা তিনি নিজেই অকপটে স্বীকার করেন সর্বসমক্ষে। তার দস্যি স্বভাবের প্রমাণ বহু জায়গায় রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সম্প্রতি, ‘হাবজি গাবজি’ ছবির প্রচারে এসে বন্ধু অভিনেতা পরমব্রতর সামনেই নিজের ছোটবেলার গল্প বললেন।
অভিনেত্রী শুভশ্রী তার শৈশবের স্মৃতি মন্থন করে হাসতে হাসতে বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি ভয়ঙ্কর দুরন্ত ছিল। যাকে বলে গেছো। এতটাই যে রাস্তায় ছেলেদের ধরে ধরে মারতাম। পাড়ার পার্টি অফিস থেকে বাবার কাছে হামেশাই অভিযোগ আসত। ঘটনার কথা বলতে শুরু করলে গোটা দিন লেগে যাবে।’ পরমব্রতও অবশ্য চুপ ছিলেন না। তিনিও তার শৈশবের টুকরো স্মৃতি তুলে বলেন, ‘আমি ছিলাম মিচকে শয়তান। আমার মুখ দেখে কেউ বুঝতেই পারত না আমি বদমাইশি করার ক্ষমতা রাখি এতটা। সবাই ভাবত, ‘এত মনখারাপ একটা মুখ.. আহারে ও এরকম করতে পারে..’ কিন্তু আমার অ্যান্টেনাগুলো খুব সজাগ থাকত। সব বদমাইশির পরিকল্পনা করতাম আমি কিন্তু ঠিক বুঝতে পারতাম টিচার আসছে। সবার আগে সরে যেতাম ঘটনাস্থল থেকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’। শুভশ্রী গাঙ্গুলী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ছবিটিতে অভিনয় করেছেন । এখানে গল্পের বিষয় হল মোবাইল ফোন, শৈশব, ও দম্পতির জীবন। কিভাবে মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট আমাদের শৈশব নষ্ট করছে তারই প্রতিচ্ছবি হল ‘হাবজি গাবজি’। একেবারে ট্রেন্ডিং টপিক হল এই গল্পের মূল বিষয়।
ট্রেলার দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই আজকের প্রজন্মের সন্তানদের বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটা বিশেষ মেসেজ দেওয়া হয়েছে। বিষয় একটাই, মোবাইল ও ইন্টারনেটের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের মাত্রাতিরিক্ত ভুল ব্যবহার মানেই নিজেকে সবদিক থেকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া। বিশেষ করে বাচ্চাদের থেকে মোবাইল দূরে রাখাই উচিত, যাতে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। পরম শুভর আড্ডার মাঝেই জানা গেল যে আগামী ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে ‘হাবজি গাবজি’।