বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্যান্য বারের মতো এবারও বেশকিছু দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কালীঘাটের বাড়ি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেছেন। অর্থাৎ পিতৃপক্ষেই আজ বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেল। এর আগে মহালয়া থেকে শুরু হত দুর্গা পুজোর উদ্বোধন।
পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হলেই মূলত পুজো উদ্বোধন হত। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার দুদিন আগে কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন নিয়ে সেবার তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবারও পিতৃপক্ষের মধ্যে দুর্গাপুজো উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরোও পড়ুন : সময় ৫৩ সেকেন্ডে! ১৩৮৭ টাকার টিকিট কেটে সফর করুন বিশ্বের সবথেকে কম সময়ের বিমান যাত্রায়
মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, “কোনো কালচারাল অনুষ্ঠান নয় দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করবেন।” বিজেপির স্পোর্টস অ্যান্ড ক্লাব রিলেশন সেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আজ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি বসে পুজোর ফিতে কাটবেন পিতৃপক্ষে। ১২ তারিখ থেকে সব করবেন। পারেও বটে।”
আরোও পড়ুন : ১৯১২ জন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ! পুজোর আগেই এই জেলাবাসীর জন্য দুর্দান্ত খবর
শুভেন্দুর কথায়, “পঞ্জিকা, সময় এসব কিছুর প্রয়োজন হবে না আমাদের পুজোয়। ৬-৭ হাজার বছর পুরনো সংস্কৃতি সনাতন। কালচারাল অনুষ্ঠান নয় এটা। পঞ্জিকাতে উল্লেখ করা রয়েছে বোধন, আরতি, পুষ্পাঞ্জলী ও বিসর্জন, সবটার তারিখ ও দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন, ওনার ১৪ পুরুষেরও এটা বদল করার ক্ষমতা নেই। কিছু জালি হিন্দুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্বোধন করবেন। আগের বছরও এটা করেছিলেন।”
এরই সাথে বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “অন্য ধর্মের জন্য উনি যদি এটা করতেন তাহলে ট্রেন বন্ধ হয়ে যেত, ইট পড়ত বাসে। ৩৭ টা বাস পোড়ানো হত সাঁতরাগাছিতে। গোটা একটা ট্রেন জ্বলে যেত হাজারদুয়ারিতে। আমরা মনে করি দুর্গাপুজো হবে শাস্ত্রমতে। আমি যদি সঠিক হিন্দু হই, বিশুদ্ধ সনাতনী হই, বিশুদ্ধ রাষ্ট্রবাদী হই তাহলে শুভ কাজ করব না পিতৃপক্ষে।”