বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়ান স্বামী তার মাস্টারপ্ল্যান ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জন্য খ্যাত। জানিয়ে দি ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে থাকা রামসেতুকে ভাঙার পরিকল্পনা করেছিল বিদেশী শক্তি। সুব্রামানিয়ান স্বামী সেই ব্যক্তি যিনি রামসেতুকে রক্ষা করেছিলেন। শুধু এই নয়, উনি সেই ব্যক্তি যিনি সোনিয়া ও রাহুলকে দুর্নীতির মামলায় জেলের দরজায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এখন সোনিয়া ও রাহুল বেল নিয়ে জেলের বাইরে আছে। একই সাথে রাম মন্দির নির্মাণের জন্যেও লড়াই চালাচ্ছেন সুব্রামানিয়ান স্বামী।
সুব্রামানিয়ান স্বামী J&K থেকে ধারা 370 অপসারণের প্ল্যান দিয়েছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য সুব্রামানিয়ান স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এক দুর্দান্ত পরামর্শ দিয়েছেন। উনি বলেছেন পাকিস্তান যদি ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে, তবে ভারতেরও উচিত করাচি বন্দরে যাওয়ার জন্য যেই জাহাজ গুলি আরব সাগর হয়ে যায় সেইগুলিকে আরব সাগর হয়ে আর যেতে না দেওয়া।
সুব্রামানিয়ান স্বামী এই বিবৃতিটি তখন দেন যখন “পাকিস্তান ভারত থেকে ট্র্যাফিক চলাচলের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করার কথা ভাবছে বলে জানা গেছিল। ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া অনুচ্ছেদ, 370কে বাতিল করার পর বোঝাই যাচ্ছিল যে পাকিস্তান এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। স্বামী টুইট করে বলেছেন ‘নমো সরকারকে আমার পরামর্শ, যে পাকিস্তান যদি ভারতের বাণিজ্যিক ও বেসামরিক বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমাকে বন্ধ করে দেয় তবে আরব সাগর থেকে করাচির বন্দরে যাওয়া জাহাজগুলির জন্য ভারতেরও আরব সাগরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ‘
My advice to Namo Govt: If Pak closes their airspace for our commercial and civil aircraft , India should close Karachi port by blocking ships going through Arabian Sea (which needs to be renamed) to Karachi port.
— Subramanian Swamy (@Swamy39) August 28, 2019
আসলে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী টুইট করে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করা হবে।
এই বছরের শুরুর দিকে বালাকোট বিমান হামলার পরে পাকিস্তান ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় ট্র্যাফিকের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পর আবার এই রুটটি ১৬ই জুলাই পুরোপুরি খোলা হয়েছিল। ১৪০ দিনের এই সময়কালে, প্রায় ৮৪ হাজার ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছিল। ভারত বলছে যে এই সময়ে পাকিস্তানি আকাশসীমা বন্ধ হওয়ার কারণ হলো প্রতিদিন প্রায় ৬০০টি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।