বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন আসন্ন আর তার পূর্বে নিজেদের ঘর গোছানোর পাশাপাশি সংগঠন মজবুত করতে মরিয়া কেন্দ্র এবং বিরোধী দুই শিবির। একদিকে যেমন সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে চলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব, আবার অপরদিকে গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতা খর্ব করে দেশের বুকে উঠে আসতে তৎপর বিরোধীরা। সেই সারিতে সামনের দিকে অবস্থান করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) আর এবার বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সাক্ষাতের মাধ্যমে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনাই সামনে উঠে এলো।
উল্লেখ্য, বিজেপির হয় দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিচরণ করে চলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তবে একইসঙ্গে আবার মাঝেমধ্যেই নিজের দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে বিজেপি নেতার। অতীতে রাজধানীতে তাদের পারস্পরিক সাক্ষাতের পর শুরাম স্বামী দাবি করেন যে, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রয়েছেন। আর এবার নবান্ন এসে মমতার সঙ্গে দেখা করার মাঝে নয়া রাজনৈতিক জল্পনাই যে সৃষ্টি হয়েছে, তা বলা বাহুল্য।
ইতিমধ্যেই বিজেপির হয়ে রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। সূত্রের দাবি অনুযায়ী, গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁকে টিকিট প্রদান করা হবে না। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মাধ্যমে বিজেপি নেতা ফের একবার রাজ্যসভায় পদার্পণ করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নবান্নে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলবদল প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় স্বামীর। এক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফ থেকে যেমন সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, আবার অপরদিকে স্বামী জানিয়েছেন যে, তাঁর সঙ্গে বিজেপির বহু সাংসদ দল ছাড়তে চলেছেন এবং সে ক্ষেত্রে তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন কিনা, তা অবশ্য সময় বলবে।
তবে এর মাঝে মমতা-সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সাক্ষাৎকে সৌজন্যমূলক বলেই মন্তব্য প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, “বহুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে পরিচয় রয়েছে। উনি কলকাতায় এসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এতে আলোচনার কি আছে?”
উল্লেখ্য, আগামী ডিসেম্বর মাসে বিজেপি নেতা পুনরায় একবার কলকাতায় আসতে চলেছেন। এ নিয়ে জল্পনা মাঝে এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে উনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেবেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে আমার মনে হয়, মোদির দূত হিসেবে খবর নিতে এসেছেন স্বামী।”