বিজেপি পার্টি যখন রাম মন্দির ইস্যুকে তাদের লক্ষ্য করেনি তার আগে থেকে সুব্রামানিয়ান স্বামী (Subramanian Swamy) রাম মন্দির নির্মাণ এর জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। এরপর বিজেপি অযোধ্যাকে নিজেদের ইস্যু করে ফেলে। কিছু সময়ের পর স্বামী বিজেপি পার্টিতে যোগদান করেন। এখন আদালত অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণা করে দিয়েছে। বিগত কিছু মাসে টানা শুনানি হওয়ার পেছনে সবথেকে বড়ো হাত রয়েছে সুব্রামানিয়ান স্বামীর।
কারণ একটানা শুনানি চালানোর জন্য স্বামী আবেদন করেছিলেন। আসলে রাজনীতির দৃষ্টিকোন ছাড়াও, ধার্মিক ভাবে সুব্রামানিয়ান স্বামী রাম মন্দিরের সাথে দারুনভাবে জড়িত।রাম সেতু যখন কংগ্রেস সরকার ভেঙে দিতে চেয়েছিল, তখনও স্বামী নিজে দায়িত্ব নিয়ে আদালতে লড়াই করে সেতু রক্ষা করেছিলেন।
তবে স্বামী এখন আরো এক ইস্যু তুলে ধরেছেন।সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, অযোধ্যাতে রাম মন্দির শীঘ্রই তৈরি করা উচিত।মুসলিম সংগঠনগুলিরও কাশী এবং মথুরা সম্পর্কে তাদের দাবি ছেড়ে দেওয়া উচিত। উনি এদিন বিএইচইউর স্বাধীনতা ভবনে স্থিতি ও সম্ভাবনার পূর্তি উপলক্ষে সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন যে কাশী ও মথুরায় প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের দরকার নেই। হিন্দু সমাজের বিশ্বাস বিবেচনা করে, সংশ্লিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলি পারস্পরিক সম্মতিতে একটি সমাধান খুঁজে পেতে পারে।অযোধ্যায় যেভাবে মুঘল আতঙ্কবাদীরা মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়েছিল।একইভাবে কাশী, মথুরাতেও মুঘল আতঙ্কবাদীরা আক্রমন করে মন্দির ভেঙেছিল ও মসজিদ বানিয়েছিল।
কাশী, মথুরার সেই বিখ্যাত দুটি মন্দিরের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন সুব্রামানিয়ান স্বামী। এর আগেও হিন্দুত্ববাদীরা আওয়াজ তুলেছিল যে অযোধ্যা দিয়ে শুরু হলেও তাদের কাশি, মথুরার মন্দিরও ফেরত চাই। অনেকের দাবি বিদেশি আক্রমণকারীরা যে পরিবর্তন করে গেছে তার সংশোধন করা উচিত। কারণ গোলামী চিন্হ থাকলে সেই সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না।