বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উন্নাও (Unnao) এর গণ ধর্ষিতার মৃত্যুর পর রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা একে অপরকে আক্রমণ করা শুরু করেছে। এক দিকে বিরোধীরা উত্তর প্রদেশ সরকারকে আক্রমণ করছে, আরেকদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামী (Subramanian Swamy) বলেন, দুর্নীতি গ্রস্ত নেতাদের সংরক্ষণ করার জন্যই ধর্ষণের এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। সুব্রামানিয়াম স্বামী রবিবার ট্যুইট করে বলেন, প্রথমে দোষী নেতাদের উপরেও অ্যাকশন নেওয়া উচিৎ। বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা ভ্রষ্ট নেতাদের সহিষ্ণুতার কারণেই বাড়ছে। যেসব রাজনেতারা ধর্ষণ করেছেন আর হত্যা করেছে, তাঁদের মাথার উপর থেকে হাত তুলে ওদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ আগে।”
আপনাদের জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। শুধু ধর্ষণ করেই খান্ত হচ্ছে না ধর্ষকেরা! ধর্ষিতাদের জ্যান্ত জ্বালিয়ে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে মহিলা পশু চিকিৎসকের সাথে ঠিক এমনটাই করা হয়েছিল। প্রথমে চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে, আর এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আরেকদিকে উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে ধর্ষিতাকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া মামলা সামনে আসে। দেহের ৯০ শতাংশ জ্বলে যাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা সংগ্রাম চালিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নির্যাতিতা।
The rising rape incidents are due to out tolerance of corrupt politicians. Those politicians who have raped or killed even if prima facie proved should be shunned. Instead they are celebrated
— Subramanian Swamy (@Swamy39) December 8, 2019
এই ঘটনা গুলোর কারণে দেশের জনতা ক্ষোভে ফুঁসছে। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন জারি আছে। এর সাথে সাথে ধর্ষণ নিয়ে কড়া আইন আনার দাবি জানাচ্ছে জনতা। সরকার ধর্ষিতাদের তাড়াতাড়ি ন্যায় দেওয়ার জন্য গোটা দেশে ১০২৩ টি নতুন ফাস্ট ট্র্যাক আদালত বানানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এরজন্য প্রতিটি রাজ্যের সরকার আর হাইকোর্টের বিচারকদের সাথে যোগাযোগ করছেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ।