বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানে সাড়া দিয়ে একাধিক বিদেশি সংস্থা তাদের পণ্য উৎপাদন করছে ভারতের (India) মাটিতেই। এহেন উদ্যোগে ভারতের অর্থনীতির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মানুষের। বিগত বছরগুলিতে আয়ের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে ভারতীয়দের মধ্যে।
ভবিষ্যতে ভারতের (India) খুচরো বাজারের অবস্থা
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের (India) অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ক্রমশ বিকাশ ঘটছে দেশের খুচরো বাজারেরও। ২০২৪ সালে দেশের খুচরো বাজার গিয়ে পৌঁছেছে ৮২ লক্ষ কোটি টাকায়। বাজার বিশেষজ্ঞদের আশা, ২০২৫ সালে এই পরিমাণ আরও বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পাবে। এরই সাথে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী ১০ বছরে অর্থাৎ ২০৩৪ সালের মধ্যে ভারতের খুচরো বাজার পৌঁছে যেতে পারে ১৯০ লক্ষ কোটি টাকায়।
আরও পড়ুন: ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ! এই একটা জিনিস দিয়েই ৩ দিক দিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরেছে পাকিস্তান-মলদ্বীপ-বাংলাদেশ
বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) ও রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (আরএআই) ‘উইনিং ইন ভারত অ্যান্ড ইন্ডিয়া: দ্য রিটেল ক্যালিডোস্কোপ’ নামক একটি যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল্যের হিসাবে ২০১৪ সালে ভারতের খুচরো বাজারের (Retail Market) আয়তন ছিল ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ১০ বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেই পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮২ লক্ষ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : কাউকে ‘পাকিস্তানি’ বলে ডাকা অপরাধ? বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, কোন মামলায়?
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে সাথে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। বিগত কয়েক বছরে আয় বেড়েছে ভারতীয়দের। বহু ভারতীয় পরিবার এসেছে আপার ইনকাম গ্রুপে। আয়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে বেড়েছে ক্রয় ক্ষমতাও। করোনা মহামারীকালে কিছুটা ধাক্কা খেলেও, ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy)।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ক্রয় ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে ভারতীয়দের মধ্যে। সেই হিসাবেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের খুচরো বাজার আগামী ১০ বছরের মধ্যে স্পর্শ করতে পারে ১৯০ লক্ষ কোটি টাকার গন্ডি। পাশাপাশি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেন জেডের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষণীয়ভাবে। একইসাথে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনলাইন মাধ্যম জনপ্রিয়তা লাভ করলেও, এখনও অফলাইনে হয়ে থাকে ৫৮% কেনাকাটা।