চাকরি ছেড়ে খোলেন ফুচকার স্টল, আজ দুটি রেস্তরাঁর মালিক আশিস! ট্যাক্স গোনেন ফিল্মস্টারদের মতোই

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে গেলে সফলতা ধরা দিতে বাধ্য। চারিদিকে এমন ভুরিভুরি উদাহরণ আছে যাদের পরিশ্রমের সামনে মাথা নত করেছে নাম খ্যাতি যশ। এরকমই এক উদাহরণ হল ফুচকা বিক্রেতা আশিষ জোশী (Ashish Joshi)। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে সাফল্য এসে কড়া নেড়েছে তার দরজায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফুচকা খেতে ভালোবাসেনা এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। সন্ধ্যাবেলা রাস্তায় গাড়ি চলাচল দেখতে দেখতে ঝাল ঝাল পুর দিয়ে টক জল ছুঁইয়ে ফুচকাটি যেই মুখে পোরা হয় অমনি উধাও হয়ে যায় সারাদিনের ক্লান্তি। ফুচকার প্রতি রয়েছে আপামর ভারতবাসীর এক আলাদা ধরনের নস্টালজিয়া। আর চাকরি ছেড়ে এই ব্যবসাটিই ফেঁদেছিলেন আশিষ।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আশিষছর জন্ম এক অতি সাধারণ পরিবারে। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ার জন্য কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্টে ভর্তি হন। এরপর ২০০৯ সালে সেখান থেকে পাশ আউট হন। এরপর সোজা চাকরি জুটিয়ে নেন নামিদামী সংস্থা ম্যাকডোনাল্ডসে। বেশ কয়েকবছর দক্ষতার সঙ্গে কাজও করেন সেখানে।

এরপর কোম্পানি বদলে তিনি চলে আসেন তিনি পিৎজা হাট এবং সাবওয়ের মতো কোম্পানিতে। এদিক ওদিক অনেক কোম্পানিতেই কাজ করেছেন আশিষ। আর তারসাথে নিয়ে এসেছেন ভুরি ভুরি অভিজ্ঞতা। সবকিছু তখন দূর্দান্ত চলছিল তখনই আশিষ ঠিক করেন, তিনি এবার একটা বড় চ্যালেঞ্জ নেবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। হঠাৎ করেই একদিন সব ছেড়েছুড়ে শুরু করেন নিজের স্টার্ট আপ।

আশিষের এই সফর শুনতে সহজ মনে হলেও বাস্তবে ছিল যথেষ্ট কঠিন। ব্যবসা শুরু করার জন্য তার মোটা অঙ্কের প্রয়োজন ছিল, যা তার কাছে ছিল না। শেষ পর্যন্ত, অর্থ সংগ্রহের জন্য, তিনি রাস্তার পাশে একটি ফুচাকার স্টল দেন। এবং কেবলমাত্র ব্যবসা শুরু টাকা ওঠানোর জন্য দীর্ঘ ২ বছর ঐ ফুচকার স্টলে কাজ করেছেন তিনি।

best puchka kolkata lead

এরপর ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে রেস্তোরাঁ খোলেন আশিস। শুনলে অবাক হবেন যে, সেই আশিষ আজ লাখ লাখ টাকা রোজগার করছেন। যোধপুরের জয়সালমের ফোর্ট রোড ধিব্বা পাড়ে ফ্রেডি ফুড নামে দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তার। তার তৈরি কর্ন পিৎজা আজ গোটা যোধপুরে বিখ্যাত। এখন তো আশেপাশের রাজ্য থেকেও মানুষ ছুটে আসে আশিষের তৈরি খাবারের স্বাদ নিতে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর