বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স যখন সবে তিন তখন মারা যান বাবা। এমনকি সংসার চালাতে করতে হয়েছে ডেলিভারি বয়ের কাজও। সেই ডেলিভারি বয় আজ অদম্য জেদের বশে হয়ে উঠেছেন সফল (Success Story) বিচারক। কেরলের (Kerala) বিচার বিভাগীয় পরিষেবা পরীক্ষায় গত বছর উত্তীর্ণ হন ইয়াসিন শাহ মহম্মদ।
ডেলিভারি বয় থেকে বিচারক হওয়ার সাফল্যের কাহিনি (Success Story)
তার এই সফলতার কাহিনি (Success Story) হার মানাবে রূপকথাকেও। ইয়াসিন মাত্র ৩ বছর বয়সেই হারান বাবাকে। তাঁর মা দুধ বিক্রি করে ভাঙাচোরা বাড়িতেই অনেক কষ্টে মানুষ করেন ইয়াসিনকে। প্রতিদিন ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে কাগজ বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়তেন ইয়াসিন। তারপর ফিরে দুধ দিতে যাওয়া বাড়ি বাড়ি।
কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়া। প্রায় এক দশক ধরে এটাই ছিল ইয়াসিনের ডেইলি রুটিন। সংসার চালানোর জন্য দুধ বিক্রি থেকে খাবার ডেলিভারি, জীবনে কখনোই দমে যাননি ইয়াসিন। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইলেকট্রনিকসে ডিপ্লোমা করার জন্য নতুন যুদ্ধ শুরু হয় ইয়াসিনের।
আরোও পড়ুন : সর্বনাশ! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন না জসপ্রীত বুমরাহ? বড়সড় আশঙ্কায় টিম ইন্ডিয়া
পড়াশোনার ফাঁকেই কাজ করে গিয়েছেন গুজরাটে। ডিপ্লোমা কমপ্লিট করে কেরলে ফিরে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন ইয়াসিন। তারপর আইনের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসে সসম্মানে উত্তীর্ণও হন। রাজ্যের সবথেকে সেরা সরকারি আইন কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে চমকে দেন তিনি। দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
View this post on Instagram
এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালানোর জন্য করেছেন ডেলিভারি বয়ের (Delivery Boy) কাজও। আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে ইয়াসিন কাজ শুরু করেন এক সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে। তারপর বসেন বিচারক বা সিভিল জজ হওয়ার পরীক্ষায়। দুই বারের চেষ্টায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখন বিচারকের (Judge) আসনে বসেছেন এই ডেলিভারি বয়।