বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই আসে শোক। সেই শোককে বুকের ভিতরে চাপা দিয়ে সফল (Success Story) হওয়ার ক্ষমতা বোধহয় খুব কম মানুষের থাকে। গুজরাটের রুবি প্রজাপতির গল্প অনেকটা তেমনই। রুবির বাবা সামান্য একজন অটোচালক। দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। মাত্র ৯ বছর বয়সে চিরদিনের মতো পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় রুবির ভাই।
রুবির সফলতার কাহিনী (Success Story)
এমনকি একটা সময় রুবি নিজেও আক্রান্ত হয় টিবিতে। তবে সংসারের দারিদ্রতা, ভাইয়ের অকাল মৃত্যু, রোগভোগ কিছুই ক্ষান্ত করতে পারেনি রুবিকে। নিজের স্বপ্নে অবিচল রুবি এগিয়ে গিয়েছেন সাফল্য (Success Story) লাভের আশায়। জীবনযুদ্ধের এক অনন্য লড়াই লড়ে NEET -UG পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৩৫ নম্বর পেয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন বহু ছাত্র-ছাত্রীর কাছে।
আরোও পড়ুন : দর্শকদের ভয়টাই সত্যি হল, নতুন মেগাকে জায়গা দিতে বিদায় নিল এই সিরিয়াল!
রুবির বাবা পেশায় অটোচালক। মা পশু পালনের কাজকর্মের সাথে যুক্ত। পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় সাধ্যমত চেষ্টা করতেন সাহায্য করার। মাত্র ৯ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় রুবির ছোট ভাই। ছোট থেকেই দারিদ্রকে সঙ্গে করে বড় হয়ে ওঠা রুবি ভাইয়ের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি।
আরোও পড়ুন : সিরিয়ালের মাঝেই নায়িকার মুখবদল, গল্প ফুরোতেই ফের জলসায় ফিরছেন অভিনেত্রী
অসুস্থতার কারণে মাত্র ৯ বছর বয়সে জীবন দ্বীপ নিভে যাওয়া ভাইয়ের নামে শপথ করে হতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক। এমনকি একটা সময় রুবি নিজেও আক্রান্ত হন যক্ষা রোগে। তবে ২০১৮ সালে সম্পূর্ণভাবে টিবি মুক্ত হন রুবি। এই অভিজ্ঞতাই রুবিকে চিকিৎসকদের (Doctor) গুরুত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন করে তোলে।
তবে রুবিকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন তার কাকা। রুবির NEET কোচিংয়ের খরচ জুগিয়েছিলেন তিনি। এক বছর কোচিং ক্লাস করেও NEET পরীক্ষায় খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি রুবি। যদিও এই ব্যর্থতাকেই সঙ্গী করে ফের ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি।
রুবি জানান, বিভিন্ন অনলাইন ভিডিও তার প্রস্তুতির পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অর্জন করেছে। বর্তমানে দিল্লির ভিএমএমসি এবং সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন গুজরাটের এই বালিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনের নানান দিক শেয়ারও করে নেয় সে। রুবির জীবন সংগ্রামের গল্প অনুপ্রাণিত করছে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে।