বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেক বাবা-মার স্বপ্নই থাকে তাদের সন্তান যেন দশ জনের একজন হয়ে ওঠে। আজ আমরা এমন এক চিকিৎসকের সাফল্যের গল্প (Success Story) আপনাদের শোনাতে চলেছি,যার জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনতে পারে আপনার। স্কুলে যাওয়ার জন্য সামান্য একটা চপ্পল পর্যন্ত ছিল না।
কৃষক পুত্রের সাফল্যের কাহিনী (Success Story)
অনেক সময় অন্যের ঠাট্টার পাত্র হতে হয়েছে তাকে। তবে সেই ছেলেই আজ পূর্ণিয়ার (Purnia) সেরা সার্জেনদের অন্যতম। পূর্নিয়ার কৃষক সুরেন্দ্র যাদব সারা জীবন পরিশ্রম করে গিয়েছেন সংসারের ভরণপোষণের জন্য। মাত্র ৩ একর জমিতে চাষ করে সামলেছেন সংসার, পড়াশোনা শিখিয়েছেন সন্তানকে। সুরেন্দ্রর ছেলের ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার।
ছেলের স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য সুরেন্দ্র যাদব লড়ে গিয়েছেন জীবনের এক অনন্য লড়াই। কৃষক (Farmer) সুরেন্দ্র যাদবের ছেলে ডাঃ তারকেশ্বর কুমার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। মা ঘরের কাজ সামলান। ছোটবেলা থেকেই লড়াই ছিল নিত্য সঙ্গী। কখনো এমনও হয়েছে দুবেলা খাবার জোটেনি।
আরোও পড়ুন : খুলে গেল কোয়েলের মুখোশ, অনির্বাণকে ঠাঁটিয়ে চড় রাইয়ের! তোলপাড় করা পর্ব ‘মিঠিঝোরা’য়
তবে তার মধ্যেও হাল ছেড়ে দেননি। ২০১১ সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর ২০১৩ সালের উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে তারকেশ্বর কুমার NEET পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি শুরু করেন। দিনা আনা দিন খাওয়া পরিবারের ছেলে হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা সবার থাকে না। এমনকি সেই কারণে তারকেশ্বর কুমারকে শুনতে হয়েছে কটুক্তিও।
তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে NEET ক্লিয়ার করে তারকেশ্বর এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান পাটনা মেডিকেল কলেজে। সেখান থেকেই সম্পন্ন করেন এমডি ও এমএস। ২০২২ সাল থেকে পূর্ণিয়ার আরসি যাদব মাল্টি স্পেশালিস্ট হাসপাতালের সিও হয়ে রোগীদের সেবা করছেন ডা: তারকেশ্বর কুমার। চিকিৎসক তারকেশ্বরের সাফল্যের কাহিনী (Success Story) এখন অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তানের কাছেই অনুপ্রেরণা।