ছিল না কোনও কোচিং! অদম্য মনের জোরেই UPSC-তে বাজিমাত করলেন ফারাহ, গড়লেন নজির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকেই বলেন কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতার (Success Story) শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন যে কেউ। এই কথাই ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন আইএএস ফারাহ হোসেন।  রাজস্থানের ঝাঁঝুনু এলাকার একটি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া ফারাহ নিজের সফলতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মুসলিম পরিবারের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও হাজার প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে পৌঁছানো যায় সফলতার শীর্ষে।

UPSC পরীক্ষায় সাফল্য (Success Story)

ফারাহ ২০১৬  সালে দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। গোটা দেশের মধ্যে অর্জন করেন ২৬৭ তম স্থান।‌ রাজস্থানের দ্বিতীয় মুসলিম আইএএস হিসাবে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন ফারাহ। এমনকি কোচিং ছাড়াও যে এত কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায় সেই নজিরও সৃষ্টি করেছেন এই মুসলিম কন্যা। অল ইন্ডিয়া সার্ভিসে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রথম মুসলিম প্রার্থী ছিলেন জয়পুরের আসলাম খান।

Success Story of a UPSC Candidate

তারপর ফারাহ হয়ে উঠেছেন রাজস্থানের দ্বিতীয় মুসলিম আইএএস অফিসার। ঝাঁঝুনু জেলার নাওয়ান গ্রামে জন্ম ফারাহর। সংখ্যালঘু মুসলিম উপজাতি পরিবারের সদস্য ফারাহ দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উদাহরণ তৈরি করেছেন। সরকারী আইন কলেজ, বোম্বে থেকে স্নাতকোত্তীর্ণ হয়ে ফৌজদারি আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন ফারাহ। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান ফারাহ শুধু পড়াশোনা নয়, অংশ নিয়েছিলেন একটি বিউটি প্রতিযোগিতাতেও।

আরোও পড়ুন :সামনে এল বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকা! প্রথম স্থানে বাজিমাত এই দেশের, কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত?

ফারাহর বাবা আশফাক হুসেন ছিলেন জেলা কালেক্টর। তাঁর দাদা রাজস্থান হাইকোর্টের আইনজীবী। ফারাহর এক কাকা ছিলেন পুলিশ কর্মী ও আরেক কাকা রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব। এমনকি তাঁর দুই কাকাতো ভাই কর্মরত রাজস্থান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে।ফারাহর পরিবারের ১৪ জন সদস্য কর্মরত সরকারি শীর্ষ পদে। ছোটবেলা থেকে তাই পরিবারই ছিল ফারাহর সাফল্যের (Success Story) নেপথ্যে দায়ী ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর