একেই বলে কপাল! ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে অভিনব ব্যবসা শুরু করে ৪০ লক্ষ টাকা আয় করছেন অজয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, চাহিদার ওপর ভর করে অন্য ধরণের ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমেও অনেকেই সফল (Success Story) হচ্ছেন। তবে, বর্ধমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি রীতিমতো নজির গড়েছেন। কারণ, তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। আর এইভাবেই তিনি তৈরি করেছেন সফলতার এক অনন্য নিদর্শন।

অবাক করবে অজয়ের সফলতার কাহিনি (Success Story):

মূলত আজ আমরা আপনাদের কাছে অজয় গোপীনাথের কথা জানাবো। যিনি ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দিয়ে মাইক্রোগ্রিন চাষ শুরু করেন। আর এই ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি হয়ে উঠেছেন লাভবান। একটি ছোট ঘরে অর্গানিক মাইক্রোগ্রিন চাষ শুরু করেন তিনি। এমতাবস্থায়, চলুন জেনে নিই তাঁর সাফল্যের কাহিনি (Success Story)।

Success Story Of Ajay Gopinath.

চাকরি ছেড়ে ২০২০ সালে ব্যবসা শুরু করেন: জানিয়ে রাখি যে, অজয় গোপীনাথ সিটি গ্রুপে কাজ করতেন। একদিন তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে বেঙ্গালুরুর একটি রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে অজয় ​​স্যালাডে মাইক্রোগ্রিন দেখেছিলেন। যা তাঁকে আকৃষ্ট করে। এরপর অজয় ​​মাইক্রোগ্রিন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। জানিয়ে রাখি যে, মাইক্রোগ্রিন হল সাধারণত সবজি, শস্য এবং ভেষজের অঙ্কুরোদগমের প্রাথমিক পর্যায়। মাইক্রোগ্রিন নিয়ে গবেষণা করার পর অজয় এটির চাষ শুরু করার কথা ভাবেন। তারপরেই ​​২০২০ সালে তিনি তাঁর চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং মাইক্রোগ্রিন চাষ শুরু করেন।

আরও পড়ুন: আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে অনীহা? এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার, জানলে হবেন অবাক

ইউটিউব থেকে মাইক্রোগ্রিন চাষ করা শেখেন: প্রথম দিকে অজয়ের পক্ষে মাইক্রোগ্রিন চাষ করার বিষয়টি খুব একটা সহজ ছিল না। তিনি এর্নাকুলামের একটি অফিসে “Proprietorship” হিসেবে “গ্রো গ্রিনস”-এর রেজিস্ট্রেশন করেন। অজয় ইউটিউব থেকে মাইক্রোগ্রিন চাষ করা শিখে যান। এছাড়া অজয় ​​তাঁর এক ব্রিটিশ বন্ধুর কাছ থেকে মাইক্রোগ্রিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পান।

আরও পড়ুন: জীবনের নতুন ইনিংসের পথে পিভি সিন্ধু! চলতি মাসেই হবে বিয়ে, হবু স্বামীর IPL-এর সাথে রয়েছে যোগ

অজয় একটি ঘরেই মাইক্রোগ্রিন চাষ করতে শুরু করেন। এর জন্য তিনি শুধুমাত্র জৈব বীজ ব্যবহার করেন। মাইক্রোগ্রিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিরা গ্রহণ করেন খাদ্য হিসেবে। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেও মাইক্রোগ্রিন চাষ করেছেন অজয়। আজ অজয় ​​মাইক্রোগ্রিন বিভিন্ন জিম থেকে শুরু করে, হাসপাতাল, হোটেল এবং খুচরো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। তিনি ভারত জুড়ে কৃষকদের ইন্ডোর ফার্মিং ইউনিট স্থাপনের প্রশিক্ষণ দিয়েও করেন উপার্জন।২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। আর এইভাবেই অভিনব ব্যবসার মাধ্যমে সফল (Success Story) হতে পেরেছেন অজয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর