২৪ বছরে ১৬ বার ফেল, করতে হয়েছে শ্রমিকের কাজও, এবার সরকারি চাকরি পেয়ে নজির গড়লেন এই ব্যক্তি

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: লক্ষ্যপূরণের জেদ মনের মধ্যে সঠিকভাবে থাকলে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকেই অতিক্রম করা যায়। শুধু তাই নয়, কিছুজন আবার বারে বারে ব্যর্থতার সম্মুখীন হলেও কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণের জন্য অনবরত চেষ্টা করতে থাকেন। যার ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যান তাঁরা। আর এইভাবে তাঁরা তৈরি করেন এক অনন্য উত্তরণের কাহিনি (Success Story)। যেটি উদ্বুদ্ধ করে প্রত্যেককেই। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের ভানওয়ারলাল মুন্ধের বিষয়ে জানাবো। যিনি একের পর এক এত ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েও স্বপ্নপূরণের হাল ছেড়ে দেননি। আর সেই কারণেই তিনি হয়েছেন সফল। রাজস্থানের বারমেরের সানাওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা ভানওয়ারলাল ১৯৯৯ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তারপরে তিনি সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু, তিনি একের পর এক ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। এমনকি, তিনি মোট ১৬ বার ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। এমতাবস্থায়, তাঁর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে ৪১ বছর বয়সে তিনি সরকারি চাকরি পেয়েছেন।

Success Story of Bhanwarlal Mundh

জানিয়ে রাখি যে, ভানওয়ারলাল পশ্চিম রাজস্থানের বারমের জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সানাওয়াড়ার বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি সামাজিক বিজ্ঞান থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে, আর্থিকভাবে দুর্বল হয়েও তিনি ২০১০ সালে বিএড করেন। সেই সময়ে তিনি গুজরাটের উনঝাতে শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেন।

আরও পড়ুন: অনাড়ম্বর জীবনযাপন, সাইকেলে চেপে ঘুরে বেড়ান গ্রামে! অথচ ইনিই মালিক ৭,০০০ কোটির কোম্পানির

পড়াশোনার জন্য শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেছেন: ভানওয়ারলালের এহেন সাফল্যে তাঁর পরিবারের সবাই অত্যন্ত খুশি। ভানওয়ারলাল জানান যে, ১৯৯৯ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। এরপর আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ১০ বছর শ্রমিকের কাজ করেন। ২০১০ সালে তিনি বিএড সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বারংবার পরীক্ষা দিলেও বিভিন্ন কারণে চাকরি পাননি।

আরও পড়ুন: আর নেই চিন্তা! SBI-তে অ্যাকাউন্ট থাকলেই এবার রয়েছে বড় সুখবর, শুরু হয়ে গেল এই দুর্দান্ত পরিষেবা

এছাড়া ভানওয়ারলাল রেলওয়েতে তিনবার ও শারীরিক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও প্রতিবারই চূড়ান্ত মেধা তালিকায় ব্যর্থ হন। তারপরেও বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২০২৩ সালে, তিনি চূড়ান্তভাবে জেনারেল ক্যাটাগরি থেকে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তারপরেই ভানওয়ারলালের লড়াইয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর