বাংলা হান্ট ডেস্ক: কার ভাগ্যে কি লেখা রয়েছে তা কেউই বলতে পারেনা। আজ যিনি নিঃস্ব সময়ের ফেরে তিনিই হয়ে উঠতে পারেন ধনকুবের। তবে, প্রত্যেক সফল মানুষেরই এক অদম্য লড়াইয়ের কাহিনি (Success Story) থাকে। যেই লড়াই তাঁকে নিয়ে যায় সফলতার শীর্ষে। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক লড়াকু ব্যক্তির প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব। যাঁর সম্পর্কে জেনে অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
একটা সময়ে পিয়নের চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তাঁকে হতে হয়েছিল উপহাসের শিকার। সেখানে তাঁকে iPhone-এর লোগো দেখিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি তা বলতে পারেননি। কারণ তাঁর আগে iPhone সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। তবে, আজ তিনি নজির গড়ে দাঁড় করিয়েছেন কয়েক কোটির কোম্পানি। আর এই লড়াকু ব্যক্তি হলেন দিলখুশ কুমার। যিনি Rodbez-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং CEO।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দিলখুশের সংস্থা গ্রাহকদের ট্যাক্সি চালকদের সাথে সংযুক্ত করে তাঁদের সফরের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করেন। তবে, এই সংস্থাটি ওলা কিংবা উবেরের মতো নয়। বরং, এটি একটি ডেটাবেস সংস্থা। যেটি গ্রাহকদের সরাসরি ট্যাক্সি চালকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করায়। এদিকে, দিলখুশের সাফল্যের পথ কিন্তু খুব একটা মসৃণ ছিল না। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা দিলখুশ অর্থের অভাবে মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
আরও পড়ুন: দিতে হবেনা পরীক্ষা! ইন্টারভিউর মাধ্যমে Axis Bank-এ নিয়োগ, এভাবে করুন আবেদন
এমতাবস্থায়, তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে গাড়ি চালানো শিখেছিলেন এবং অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে নিউ দিল্লিতে অটো চালাতেন। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি বিক্রি করতেন শাকসবজি। সেই সময়ে দিলখুশ ট্যাক্সি সার্ভিস শুরু করার মাধ্যমে একটি কোম্পানি তৈরির কথা ভাবেন। তাঁর কাছে তখন ছিল একটি সেকেন্ড হ্যান্ড টাটা ন্যানো। ৬ থেকে ৭ মাসের পরিশ্রমের পর তিনি আরও অর্থ জোগাড়ের মাধ্যমে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে “টার্গেট কিলিং”-এর অভিযোগ পাকিস্তানের, মুখ খুলল আমেরিকাও
তবে, আজ দিলখুশ পৌঁছে গিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায়। শুধু তাই নয়, একটা সময়ে অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে সবজি বিক্রি করা দিলখুশ এখন IIT-IIM-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত দক্ষ কর্মীদের তাঁর সংস্থায় নিয়োগ করেছেন। বর্তমানে, তাঁর নেটওয়ার্কে ৪,০০০ টি গাড়ি রয়েছে। এমতাবস্থায়, তিনি ক্যাব ড্রাইভারদের একটি কমিউনিটি তৈরি করে দেশের সমস্ত শহরে তাঁর কোম্পানিকে বিস্তৃত করতে চান বলেও জানা গিয়েছে।