বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রত্যেকটি সফল মানুষের জীবনে সফলতার নেপথ্যে থাকে হাজারও প্রতিবন্ধকতার গল্প। অতীতের বিভিন্ন প্রতিবেদনে আমরা এমন অনেক অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যা আমাদের স্তম্ভিত করে প্রতিটা মুহূর্তে। ব্যর্থতা বা প্রতিকূলতা আসলে থমকে যাওয়া নয়, সফলতার (Success Story) স্বাদ নিতে গেলে এগিয়ে যেতে হবে প্রতিটা মুহূর্তে।
আনিশা তোমারের সাফল্যের কাহিনি (Success Story)
আজ আমরা যে আইএএস অফিসারের গল্প আপনাদের জানাতে চলেছি তাঁর জীবন দর্শনও অনেকটা সেরকমই। পরপর ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় ব্যর্থতা, জটিল শারীরিক সমস্যা, কিছুই বাধা হয়ে উঠতে পারেনি আনিশা তোমারের স্বপ্নের পথে। ছোটবেলা থেকে আইএএস অফিসার হতে চাওয়া আনিশা লড়াই করে গিয়েছেন প্রত্যেকটা মুহূর্তে।
আরোও পড়ুন : অফিসে বসের সুনজরে থাকতে চান? মেনে চলুন চাণক্যর এই ৫টি উপদেশ
বারংবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে না গিয়ে, আনিশা তোমার দৃঢ় সংকল্প করে এগিয়ে গিয়েছেন নিজের লক্ষ্যে। ২০১৬ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন আনিশা। দিনরাত এক করে সুশৃঙ্খল ভাবে ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় সফলতা পেতে চেয়েছিলেন এই তরুণী।
আরোও পড়ুন : “মহাকুম্ভে মহা চমক”! টপার মেগায় “জবরদস্ত” টুইস্ট জি বাংলার, প্রোমোতেই ঘুরে গেল খেলা
তবে প্রথমবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার কাটঅফ থেকে ছিটকে যান সামান্য পয়েন্টের জন্য। ফের দ্বিতীয়বারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, জটিল মস্তিষ্কের রোগের সমস্যা দেখা দেয় আনিশার। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনিশা আক্রান্ত হন ইডিওপ্যাথিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল হাইপারটেনশন (IIH) নামক একটি রোগে।
ওষুধ, এমআরআই এবং স্পাইনাল ট্যাপ হয়ে উঠেছিল আনিশার নিত্য সঙ্গী। তবে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও হাল ছাড়েননি আনিশা। অবশেষে তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় ইউপিএসসি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য লাভ করেন মেধাবী এই কন্যা। সর্বভারতীয় স্তরে (এআইআর) ৯৪ তম র্যাঙ্ক করে IAS অফিসার হয়ে সফলতার নয়া নজির সৃষ্টি করেন আনিশা।