মাটির ঘরে থেকে শ্রমিকের কাজ করে পড়িয়েছেন মা! আজ IAS হয়ে দেশের সেবা করছেন অরবিন্দ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: IAS (Indian Administrative Service) অফিসার হওয়ার লড়াই সকলের কাছে একরকম নয়। এই লড়াইতে প্রতিটি সফল মানুষের নিজস্ব একটা কাহিনি রয়েছে। অনেকের কাছেই যেমন এই যাত্রা দীর্ঘ ঠিক তেমনই কেউ কেউ সফলতা পান খুব অল্প সময়েই!

তবে, প্রত্যেককেই ক্রমাগত লড়ে এই সফলতা হাসিল করতে হয়। আজ এই প্রতিবেদনে ঠিক তেমনই এক যোদ্ধার লড়াইয়ের কথা জানতে পারবেন আপনারা! জীবনযুদ্ধের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা হারিয়ে IAS অফিসার হয়ে নিজের উত্তরণের এক কাহিনি রচনা করেছেন IAS অরবিন্দ কুমার মীনা!

রাজস্থানের দৌসা জেলার সিকরায়া মহকুমার অন্তর্গত নাহারখোহারা গ্রামে একটি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অরবিন্দ মীনা। অরবিন্দের বয়স যখন মাত্র ১২ বছর, তখন তাঁর বাবা হঠাৎ মারা যান। প্রথম থেকেই দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে আসা এই পরিবারটি তখন আরও বিপাকে পড়ে।

আরও পড়ুন: হার মানবে সিনেমাও! গয়না বিক্রি করে স্বামীকে পড়িয়েছেন স্ত্রী, এখন দু’জনেই করছেন সরকারি চাকরি

বাবা মারা যাওয়ার পর, অরবিন্দের মা নিজেই ছেলেদের দায়িত্ব নেন। দারিদ্র্যতার কারণে এই পরিবারটি বিপিএল তালিকাভুক্ত ছিল। তাঁর মা কঠোর পরিশ্রম করে অরবিন্দের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেন। মাটির ঘরে বসবাস করেই অরবিন্দ তাঁর স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ডান হাত! মনের জোরকে সম্বল করেই IAS হয়ে নজির গড়লেন অখিলা

এদিকে, ক্রমাগত আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে একসময় অরবিন্দ তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। তখন তাঁর মা ছেলেকে সাহস ও উৎসাহ জোগান। মায়ের কাছ থেকে শক্তি সঞ্চার করে তিনি আবার কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন।

Success story of IAS Arvind Meena

তাঁর এই পরিশ্রম বিফলে যায়নি! তিনি প্রথমে SSB-র পরীক্ষায় সহকারী কমান্ড্যান্ট পদে নির্বাচিত হন। সেনাবাহিনীতে যোগদানের পাশাপাশি অরবিন্দ UPSC-এর প্রস্তুতিও চালিয়ে যান। তারপরেই UPSC পরীক্ষা দেন অরবিন্দ। আর সেখানেই বাজিমাত করেন তিনি। সারা দেশে ৬৭৬ র‌্যাঙ্ক এবং সংরক্ষিত বিভাগে দ্বাদশ র‌্যাঙ্ক করেন অরবিন্দ। তারপর থেকেই মাটির ঘর থেকে দেখা সেই স্বপ্ন আজ নিয়োজিত হয়েছে দেশসেবায়। অরবিন্দের এই লড়াই অনুপ্রেরণা হয়ে আছে সকলের কাছেই!

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর