বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকেই বলেন, অধ্যাবসা ও সঠিক লক্ষ্য থাকলে হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও পৌঁছানো যায় সফলতার চূড়ায়। বহু কৃতি মানুষের সফলতার (Success Story) নেপথ্যেই থাকে বাধা, দারিদ্র আর হার না মানা এক লড়াইয়ের কাহিনী। আজ আমরা আপনাদের সাথে এমন এক আইএএস অফিসারের পরিচয় ঘটাতে চলেছি যিনি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে হারিয়েছিলেন বাবাকে। তার মা ছিলেন গৃহ পরিচারিকা। ছোটবেলা কেটেছিল অনাথাশ্রমে।
বি আবদুল নাসারের সাফল্য (Success Story)
তবে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও অধ্যাবসা ও জেদ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সফলতার (Success Story) দোরগোড়ায়। বি আবদুল নাসার (B Abdul Nasar) জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে তৈরি করেছেন এক অনন্য নজির। সংসার চালাতে মাত্র ১০ বছর বয়সে একটি ছোট্ট হোটেলে নিজের কর্ম জীবন শুরু করেন আবদুল। এমনকি বেশ কয়েকবার পালিয়ে গিয়েছিলেন অনাথ আশ্রম থেকেও। আবার ফিরেও এসেছেন সেখানে। এইভাবেই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হন বি আবদুল নাসার।
আরও পড়ুন : তলানিতে TRP নিয়েও ১০০০ পর্বে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, সমসাময়িক ‘মিঠাই’এর সঙ্গে অবিচার! ক্ষুব্ধ দর্শক
জানা যায়, কলেজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে খবরের কাগজও বিক্রি করেছেন আবদুল। কখনও ফোন অপারেটর, আবার কখনও টিউশুনি পড়িয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চালিয়ে গিয়েছিলেন স্নাতক স্তরের পড়াশোনা। জীবন সংগ্রামের অসম লড়াই লড়তে লড়তে ১৯৯৪ সালে কেরলের স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি পান আবদুল। ধীরে ধীরে নিজের কর্ম দক্ষতার জেরে সফলতার স্বাদ পেতে শুরু করেন এই আধিকারিক। এমনকি ২০১৫ সালে কেরলের শ্রেষ্ঠ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে পুরস্কারও লাভ করেন আবদুল।
এরপর ২০১৭ সালে IAS (Indian Administrative Service) স্তরে প্রমোশন পান এই সরকারি আধিকারিক। কেরল সরকারের হাউজিং কমিশনার হিসাবে সামলান দায়িত্ব। ২০১৯ সালে কোল্লামের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হিসাবে নিযুক্ত করা হয় বি আবদুল নাসারকে। ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে নয়, নিজের কর্ম দক্ষতা ও অধ্যাবস্যার জোরে আইএএস অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন আবদুল। জেদ ও অধ্যাবসা থাকলে জীবন যুদ্ধের অসম লড়াইয়ে টিকে গিয়েও যে সফলতার শীর্ষে পৌঁছানো যায়, তারই অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এই আইএএস অফিসার।