অদম্য জেদেই হল বাজিমাত! UPSC-তে প্রথম প্রচেষ্টায় IPS, ফের পরীক্ষা দিয়ে হলেন IAS, নজির গড়লেন গরিমা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: নিজের লক্ষ্যকে স্থির রেখে স্বপ্নপূরণের জন্য যাঁরা অদম্য পরিশ্রম করেন তাঁরাই পৌঁছে যান সফলতার শীর্ষে (Success Story)। শুধু তাই নয়, তাঁদের সেই সফলতা হাসিল করার কাহিনি উদ্বুদ্ধ করে বাকিদেরকেও। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক লড়াকু মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি ইতিমধ্যেই UPSC-র মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়ে IAS অফিসার হয়েছেন।

IAS গরিমা আগরওয়ালের সফলতার কাহিনি (Success Story):

মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে গরিমা আগরওয়ালের সফলতার কাহিনি (Success Story) তুলে ধরবো। ব্যবসায়িক পরিবারে বড় হওয়া গরিমা স্কুলের পড়াশোনাতে থেকেই দুর্ধর্ষ রেজাল্ট করেন। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি যথাক্রমে ৮৯ শতাংশ এবং ৯২ শতাংশ গ্রেড স্কোর করেন। গরিমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন তিনি JEE পরীক্ষা পাস করেন এবং IIT হায়দ্রাবাদে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে, গরিমা জার্মানিতে একটি ইন্টার্নশিপও করেন।

Success Story Of IAS Garima Agarwal.

গরিমা সবসময় নতুন জিনিস শেখার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। ক্রমশ তিনি নিজের জন্য একটি কঠিন লক্ষ্য বেছে নিয়েছিলেন। আর সেটি হল UPSC পরীক্ষায় পাস করা। অনেক কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে, তিনি ২৪০ নম্বর র‍্যাঙ্ক হাসিল করেন এবং IPS অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু, সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। বরং, এই সাফল্যে (Success Story) উৎসাহিত হয়ে তিনি IAS অফিসার হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।

আরও পড়ুন: সফলভাবে লঞ্চ হল ভারতের প্রথম প্রাইভেট স্যাটেলাইট পিক্সেল! প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

UPSC পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গরিমা একটি কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মতে, ওই পরীক্ষায় সফলতা লাভের জন্য প্রি এক্সাম, মেন্স এক্সাম এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য নিবিড় প্রস্তুতি প্রয়োজন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন যে, প্রি এবং মেন্স পরীক্ষায় কিছু সাবজেক্টে ওভারল্যাপ হতে পারে।

আরও পড়ুন: “কাঙাল” পাকিস্তান এবার ঘোর সঙ্কটে! বড়সড় দুঃসংবাদ দিল IMF, এবার কি করবেন শরিফ?

গরিমা, বর্তমানে তেলেঙ্গানার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে অদমজিত এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষায় বসেন এবং AIR ৪০ র‍্যাঙ্ক অর্জন করেন। তিনি ক্রমাগত অনুশীলন এবং মক টেস্ট দেওয়ার ওপর জোর দেন। এর ফলে তাঁর লেখার দক্ষতা উন্নত হয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গরিমার এই উজ্জ্বল সাফল্য প্রমাণ করে যে সাফল্য (Success Story) শুধুমাত্র পড়াশোনার মাধ্যমেই পাওয়া যায় না, বরং, তার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় সংকল্পও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর