চাকরির ফাঁকেই চলত প্রস্তুতি, একবারের চেষ্টাতেই IAS হলেন বাংলার মেয়ে নেহা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খড়গপুর আইআইটি থেকে বেরিয়ে নয়ডায় চাকরি। চাকরি করতে করতে ইউপিএসসি দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলার এই মেয়ে। চাকরির ফাঁকেই চলতে থাকে পরীক্ষার প্রস্তুতি। অধ্যাবসা ও পরিশ্রমের ফলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ২০তম স্থান (UPSC Exam) দখল করে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেন এই মেয়ে।

IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় (IAS Neha Banerjee) বাঁকুড়ায় (Bankura) খাতড়ার মহকুমাশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেও কীভাবে সম্ভব হয় পরীক্ষার প্রস্তুতি? কোন  মন্ত্রে মেলে সাফল্য? একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাথে আলাপচারিতায় সেসব কথাই ভাগ করে নিয়েছেন নেহা।

আরোও পড়ুন : সাধ্যের মধ্যে স্বপ্নপূরণ! ধামাকা অফার Samsung Galaxy S23 ফোনে, দাম শুনলেই অর্ডার করবেন

নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে যাদবপুরের বাসিন্দা। কারমেল গার্লস ও সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলে পড়াশোনা নেহার। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত IIT খড়্গপুরে (IIT Kharagpur) ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। পড়াশোনা শেষে ক্যাম্পাসিং থেকে পেয়ে যান চাকরি। চাকরির সূত্রে চলে যেতে হয় নয়ডায়। তবে মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে UPSC পরীক্ষা।

আরোও পড়ুন : এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হাল ছাড়েননি প্রিয়রঞ্জন! পতাকা কুড়োতে পথে নামেন ‘ফ্ল্যাগ ম্যান’

নেহা জানিয়েছেন, কখনো তার বিদেশে যেতে ইচ্ছা করেনি। তার অনেক সহপাঠী এখন বিদেশে চাকরি করছেন। তবে নেহা চাইতেন দেশে থেকেই কিছু করার। সেখান থেকেই তিনি ইউপিএসসি জয়েন করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালের UPSC-তে সর্বভারতীয় স্তরে ২০-তম স্থান দখল করেন নেহা। বাঁকুড়ার খাতরার SDO পদে বর্তমানে চাকরি করছেন তিনি।

নেহা বলেছেন অফিস যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করতেন। সপ্তাহে যে দুদিন ছুটি থাকত, সেই দুদিন ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। নেহার কথায়, ‘আমি অনেকটা মোবাইলে পড়াশোনা নিয়ে এসেছিলাম। খবর, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তাম। কিছু কিছু নোট মোবাইলে নিয়ে এসেছিলাম। অফিস যেতে যেতে, অফিসের লাঞ্চ টাইমে পড়তাম।’

screenshot 2024 01 29 13 51 21 51 680d03679600f7af0b4c700c6b270fe7

নেহা আরো বলেন, ‘মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে যে পাশ করব না ফেল করব। প্রস্তুতিটাকে ভাল লাগাতে হবে। এই পড়াশোনার পর্ব বা জার্নিটাকে ভালবাসতে হবে। বহু কিছু পড়তে হবে বা শিখতে হবে। এই সবগুলিই কোনও না কোনও সময় কাজে লাগবেই। তাই সাফল্য়ের চাপ মাথায় না নিয়ে ভালবেসে পড়াশোনা বা শেখার কাজটা নিয়মিত করে যেতে হবে।’


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর