বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। আর ইচ্ছা থাকলেই যে উপায় হয় তার অন্যতম উদাহরণ আইএএস অফিসার জাগৃতি। তিনি সফল (Success Story) হয়েছেন। ভোপালের মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (BHEL) তে কাজ শুরু করেন।
সাফল্যের কাহিনী (Success Story) আইএএস অফিসার
কিন্তু এই যে, স্বপ্ন! নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য, সেই চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। দেরি না করে ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জোর কদমে। প্রথমবারের মতো ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন জাগৃতি। কিন্তু সেই সময় চূড়ান্ত ব্যর্থ হন তিনি। জানলে অবাক হবেন যে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও পাশ করতে পারেনি জাগৃতি।
আরোও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন কবে? দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন মমতা
কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণে দমে যাননি তিনি। বরং নতুন কৌশল তৈরি করতে শুরু করেছিলেন মনে মনে। মনোনিবেশ করেছিলেন পড়াশোনায়। কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন জাগৃতি। দ্বিতীয়বার ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পরীক্ষা দিতেই প্রচেষ্টার ফলাফল ছিল ইতিবাচক।
কিন্তু জানেন কি, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের (Success Story) জন্য সারাদিনে ঠিক কতক্ষণ পড়াশোনা করতেন জাগৃতি? প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। যে সকল বিষয়গুলোতে তিনি সবচেয়ে বেশি দুর্বল সেই বিষয়গুলি নিয়ে একটু বেশি পড়াশোনা করতেন। যতটা সম্ভব সিলেবাস কভার করার চেষ্টা করতেন তিনি।
আরোও পড়ুন : ভুলে যাবেন বিদেশ! এবার ভারতেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সেরা আকর্ষণ, বরাদ্দ হল কোটি কোটি টাকা
পরীক্ষার সময় যাতে এগিয়ে আসতো ততই পড়াশোনার সময় বাড়িয়ে দিতেন জাগৃতি। অন্যান্য বিষয় থেকে নিজের মনোযোগ সরিয়ে মক টেস্ট এবং রিভিশনের উপর মনোনিবেশ করতেন। দিল্লির একটি কোচিং সেন্টারে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জাগৃতি। কিন্তু লকডাউনের কারণে ভোপালে ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে।
জাগৃতির বাবা এস সি অবস্থি একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার এবং তার মা একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বাবা-মা তাকে অনুপ্রাণিত করতেন। মেয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁকে সমর্থন করতেন তাঁরা। নিজেরই কৌশলে নিজে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় বাড়ি ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষা দিয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেন জাগৃতি।