বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ এক কন্যার সাফল্যের (Success Story) গল্প। আমাদের দেশে আজও কন্যা সন্তান হলে অনেক পরিবার মেনে নিতে পারে না। ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল সঞ্চিতা মহাপাত্রের (Sanchita Mohapatra) সাথেও। প্রথম কন্যা সন্তানের পর ফের একবার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় সঞ্চিতার পরিবার তাকে প্রায় পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
সঞ্চিতার সাফল্যের গল্প (Success Story)
তবে সঞ্চিতার দিদির অনুরোধে পিছু হটে পরিবার। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারেই সংগ্রামকে সাথে নিয়েই বড় হতে থাকেন সঞ্চিতা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভের পর সঞ্চিতা সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে যোগদান করেন স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ায় (Steel Authority of India)। ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র পরিবারের বেড়ে ওঠা সঞ্চিতার জীবন সংগ্রাম বিস্ময় জাগায় অনেকের মনেই।
আরোও পড়ুন : আমেরিকা সফরের আগেই “সাহসী সিদ্ধান্ত” নেওয়ার পথে মোদী! বন্ধু ট্রাম্প হবেন খুশি
ওড়িশার (Odisha) রাউরকেলায় অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেওয়া সঞ্চিতা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সহায়তায় আইএএস (Indian Administrative Service) হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই নয়, জীবনে লক্ষ্য ও অধ্যাবসা থাকলে যেকোনো ধরনের সমস্যাকেই অতিক্রম করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছানো যায়, তারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সঞ্চিতা।
আরোও পড়ুন : এক ডজন নয়া উচ্চপদ তৈরিতে সায়! নতুন বছরেই বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল রাজ্য সরকার
ছোটবেলা থেকেই সঞ্চিতার স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সহায়তায় ২০১৯ সালে পঞ্চম বারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে নিজের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হন সঞ্চিতা। বর্তমানে অমরাবতী জেলা পরিষদের সিইও হিসাবে কাজ করছেন সঞ্চিতা মহাপাত্র। আগামী দিনে দেশের নারী শক্তির ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চান এই আইএএস অফিসার। জেলা পরিষদের স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত করার পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (SHG) মাধ্যমে মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্য নিয়েছেন সঞ্চিতা।
সঞ্চিতার কথায়, ‘আমি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে চাই এবং জেলা পরিষদ স্কুলগুলিতে শিক্ষার মানও উন্নত করতে চাই।’ আগামী দিনে সঞ্চিতার স্বপ্ন বাবা-মায়ের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া। যে পরিবার একটা সময় কন্যা সন্তান হওয়ার ‘অপরাধে’ সঞ্চিতাকে ত্যাগ করতে চেয়েছিল, সেই পরিবারই আজ গর্বের সাথে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছে সঞ্চিতার জন্যই।