বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকই বলে থাকেন UPSC পরীক্ষায় সফলতা (Success Story) পেতে নিয়মিত প্রয়োজন ১২-১৪ ঘণ্টা পড়াশোনার। তবে বিহারের শ্বেতা ভারতী সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে UPSC পরীক্ষায় পেয়েছেন নজরকাড়া সাফল্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সাথে সাথেই সীমিত সময়ের মধ্যে পড়াশোনা করে UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চমকে দেওয়া ফল করেছেন বিহারের এই কন্যা।
দুর্দান্ত সাফল্যের কাহিনি (Success Story) শ্বেতার
বর্তমানে বিহারের ভাগলপুরে কর্মরত IAS অফিসার শ্বেতা ভারতী UPSC (Union Public Service Commission) উত্তীর্ণ হন ২০২১ সালে। বিহারের নালন্দা অঞ্চলের রাজগীর বাজারের বাসিন্দা শ্বেতা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন কৃতি ছাত্রী। পাটনার ঈশান ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হয়ে শ্বেতা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন ভাগলপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে।
আরোও পড়ুন : ভোল পাল্টাচ্ছে হাওড়া স্টেশনের! প্ল্যাটফর্মেও বড়সড় বদল, যাত্রীদের খুলল কপাল
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর শ্বেতা চাকরির সুযোগ পান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি উইপ্রোতে। এই সংস্থায় কাজ করার সময় থেকেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার বাসনা জাগে শ্বেতার মনে। তবে পরিবারের আর্থিক দিকটি বিবেচনা করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উইপ্রোর চাকরিও ছাড়তে পারেননি শ্বেতা।
আরোও পড়ুন : অ্যাকাউন্ট থাকলেই বিরাট লাভ! RBI-এর একটি ঘোষণাতেই কপাল খুলল PNB-র কোটি কোটি গ্রাহকের
সকালে অফিস ডিউটি আর সন্ধ্যায় বাড়িতেই প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য। শ্বেতা একবার জানিয়েছিলেন, চাকরি করার সাথে সাথে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল তার কাছে। পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার জন্য তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ থেকে।
এমনকি দরকার ছাড়া ঘাঁটতেন না স্মার্টফোনও। ২০২০ সালে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC)-এর ৬৫তম পরীক্ষায় ৬৫তম স্থান অর্জন করে প্রথম সফলতার স্বাদ পান শ্বেতা। এরপর ২০২১ সালে UPSC পরীক্ষায় ৩৫৬ তম র্যাঙ্ক নিয়ে উত্তীর্ণ হন এই মেধাবী কন্যা। বর্তমানে বিহারের ভাগলপুরে সহকারী কালেক্টর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন শ্বেতা ভারতী।