বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের বহু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে নিজেকে আইএএস বা আইপিএস অফিসার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার। তবে দেশের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা বলে বিবেচিত ইউপিএসসি ক্র্যাক করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। বহু ছাত্র-ছাত্রী বছরের পর বছর চেষ্টা করেও সফলতা (Success Story) অর্জন করতে পারেন না ইউপিএসসিতে।
অমৃত জৈনের সফলতার কাহিনি (Success Story)
তবে একনিষ্ঠ চেষ্টা ও পরিশ্রম থাকলে ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় যে একটানা চারবার সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়া যায় তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অমৃত জৈন। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলায় এএসপি অর্থাৎ সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত অমৃত রাজস্থানের ভিলওয়ারার বাসিন্দা।
আরোও পড়ুন : গ্রীষ্মের আগেই শুরু Tata-র ধামাকা! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবে AC, কিভাবে করবেন বুক?
এনআইটি ওয়ারাঙ্গল থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করে অমৃত উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন চেক টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শেষ করে হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মজীবন শুরু করেন অমৃত। তবে কিছুদিনের মধ্যেই অমৃতের মনে প্রবল আগ্রহ জন্মায় ইউপিএসসি (UPSC) নিয়ে।
আরোও পড়ুন : ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে কোনো মিলই নেই, উল্টো কথা..,’ অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট, মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ
কোনও রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ২০১৬ সালে প্রথমবারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন অমৃত জৈন। সেইবার প্রিলিমিনারিতেই থেমে যেতে হয় তাকে। এরপর ২০১৭ সালে ফের ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসলে সামান্য পয়েন্টের জন্য অধরা থেকে যায় সাফল্য। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৮ সালে তৃতীয়বারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন অমৃত।
সেই শুরু সফলতার (Success Story) নতুন অধ্যায়। ২০১৮ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় রিজার্ভ ক্যাটাগরিতে থেকে পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে কাজের সুযোগ পান অমৃত। এরপর ২০১৯ সালে ৩২১ র্যাঙ্ক, ২০২০ সালে ৯৬ র্যাঙ্ক এবং ২০২১ সালে ১৭৯ র্যাঙ্ক করে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন রাজস্থানের এই যুবক। অমৃত আইএএস (IAS) অফিসার হিসাবে যোগদান করার ইচ্ছায় বারংবার বসেছেন ইউপিএসসিতে।
তবে আইএএস না হতে পারলেও বর্তমানে আইপিএস (IPS) অফিসার হিসেবে কাজ করছেন সাফল্যের সাথে। একবার একটি সংবাদমাধ্যমকে অমৃত জানিয়েছিলেন, আইএএস অফিসার হওয়ার জন্য বারবার ইউপিএসসি দিয়েছি। তবে আইপিএস হয়েও কোনও হতাশা নেই আমার। কোনও কোচিং ছাড়াই সাফল্য পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার ইউপিএসসি পরীক্ষায়।