১০,০০০ টাকা থেকে বানিয়েছেন ৩৪,৭০০ কোটির কোম্পানি! দান করেছেন ৯৬ কোটি, অবাক করবে কিরণের কাহিনি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন মহিলারা। সমগ্র বিশ্বজুড়েই এই রেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এইভাবে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা কোনো অংশেই কম নন। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা আপনাদের কাছে ভারতের (India) এমন একজন সফল মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁর সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাঁর কাহিনি আপনাদেরকে উদ্বুদ্ধও করবে।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের সাথে বেঙ্গালুরুর সবথেকে ধনী মহিলার পরিচয় করাবো। যিনি ১০,০০০ টাকা টাকা থেকে বর্তমানে ট্রিলিয়ন টাকা উপার্জন করেছিলেন। এদিকে, আরেকটি চমকপ্রদ বিষয় হল, গত বছর তিনি একদিনে ৯৬ কোটি টাকা দান করেছিলেন। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাঁর নাম কি? জানিয়ে রাখি যে, তিনি হলেন কিরণ মজুমদার শা (Kiran Mazumdar-Shaw)।

Success Story Of Kiran Mazumdar-Shaw

২০২৩ সালে দান করেছিলেন ৯৬ কোটি টাকা: কিরণ মজুমদার শা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অন্যতম বড় এবং সুপরিচিত নাম। পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত থেকেছেন। সেই কারণেই কিরণ তাঁর মহৎ কাজের জন্যও পরিচিত। তিনি ২০২৩ সালে ৯৬ কোটি টাকা দান করেছিলেন। ওই বিপুল অর্থের অধিকাংশ অনুদান বিজ্ঞান ও শিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে এগোচ্ছে দেশ! ২০২৭ সালের মধ্যেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, জানাল বৈশ্বিক সংস্থা

কিরণ মজুমদার শা হলেন বায়োকন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। আমরা যদি এই কোম্পানির মার্কেট ভ্যালুর কথা বলি, সেক্ষেত্রে বর্তমানে এটি ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তাঁর কোম্পানি মূলত একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।

আরও পড়ুন: শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অসহায় সন্দেশখালি! উপজাতি কমিশনের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন গ্রামবাসীরা

ব্যক্তিগত জীবন: উল্লেখ্য যে, কিরণ ১৯৫৩ সালের ২৩ মার্চ কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হল রাসেন্দ্র মজুমদার। মেয়ের সাফল্যে তাঁর একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। কিরণ তাঁর পড়াশোনা বেঙ্গালুরু থেকে করেছেন। তিনি জীববিজ্ঞান এবং প্রাণীবিদ্যায় গ্র্যাজুয়েশন করেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর