বাংলাহান্ট ডেস্ক : সফলতার (Success Story) স্বাদ পেতে গেলে প্রত্যেককে যেতে হয় ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে। তবে সবার সেই ব্যর্থতাকে গ্রহণ করার মতো মনোভাব থাকে না। আজ আমরা এমন এক তরুণ উদ্যোগপতির গল্প আপনাদের জানাতে চলেছি যিনি ৬ বছরের মধ্যে পরপর ৫টি ব্যবসায় তুমুল লোকসানের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
সফলতার (Success Story) গল্প বিক্রম পাই’য়ের
এমনকি তাঁর ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এসে দাঁড়িয়েছিল মাত্র চার হাজার টাকায়। একদা নিঃস্ব হয়ে যাওয়া এই তরুণ যুবক আজ নিজের চেষ্টায় তৈরি করে ফেলেছেন লাভদায়ক একটি সংস্থা। তিনি হলেন ReferRush এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিক্রম পাই। জীবনে চলার পথে তিনি সম্মুখীন হয়েছেন একের পর এক বাধার। তবে ব্যবসায়িক অসফলতা, আর্থিক লোকসান, শারীরিক সমস্যা কোনও কিছুই দমাতে পারেনি বিক্রমকে।
আরোও পড়ুন : ‘মাত্র তিন কোটি টাকাই লাগবে’, শহরে ট্রাম বাঁচাতে এবার রাজ্যকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
বিক্রমের প্রতিষ্ঠিত ReferRush মূলত একটি ই-কমার্স রেফারেল বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম। ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে (E Commerce Company) এই প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের মাধ্যমে নতুন গ্রাহক পেতে সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে বিক্রমের ReferRush সংস্থাটি প্রতিদিন উপার্জন করছে ১.৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে বিক্রমের শুরুর দিনগুলো মোটেও এমন মসৃণ ছিল না।
আরোও পড়ুন : ৩৮ কিমির সুড়ঙ্গপথ! সিকিমের সাথে বাংলাকে যুক্ত করছে রেল, আনন্দে লাফাচ্ছেন পর্যটকরা
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে বিক্রম তাঁর অতীত জীবনের দিনগুলি সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করেছেন ফলোয়ারদের সাথে। সমাজমাধ্যমের পাতায় বিক্রম লিখেছেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে আমি এলন মাস্ক হওয়ার চেষ্টা করছি। আমার শরীরের অর্ধেক অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আমার বন্ধুরাও আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু, আমি নিজের উপর বিশ্বাস হারাইনি।’
পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘আমার খাওয়ার জন্য খাবার ছিল, থাকার জন্য একটা ঘর ছিল এবং আমার কেবল এটুকুই প্রয়োজন ছিল।’ বিক্রম জানিয়েছেন, প্রত্যেকের জীবনে শুরুর পাঁচ বছর শেখার জন্য। ব্যর্থতা যদি না আসে তাহলে কখনওই সফলতার সিঁড়িতে চড়া যায় না। বিক্রমের কথায়, আমাদের প্রত্যেকের উচিত ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া। সেই শিক্ষা আমাদের আগামী দিনে পৌঁছে দেবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে।