বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল ফ্যাশন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। তবে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এসেছে একের পর এক বাধা। সেই বাধা দূর করে মাত্র ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন এই ব্যবসায়ী। তাঁর তৈরি প্রতিষ্ঠান আজ পরিণত হয়েছে ১১৫০ কোটি টাকার সংস্থায়। মিলেছে অভাবনীয় সাফল্য (Success Story)।
জনপ্রিয় ফ্যাশান ব্যান্ডের সাফল্যের গল্প (Success Story)
গোটা দেশজুড়ে রয়েছে বিখ্যাত এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অসংখ্য আউটলেট। কামাল খুশলানির সাফল্যের এই কাহিনী অনুপ্রেরণা যোগাবে অনেককেই। ১৯ বছর বয়সে বাবাকে হারান কামাল খুশলানি। বাবার অকাল প্রয়াণে পরিবারে নেমে আসে দুর্যোগ। পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য খুব কম বয়সে কামাল কাজ নেন একটি ক্যাসেট কোম্পানিতে।
তবে ছোটবেলা থেকে ফ্যাশন ও স্টাইলের প্রতি ছিল কামালের প্রবল আকর্ষণ। এমনকি অনেক বন্ধু-বান্ধব কামালের কাছ থেকে নিতে আসতেন ফ্যাশন টিপস। সেখান থেকেই ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু করার ভাবনা-চিন্তা মাথায় আসে কামাল খুশলানির। সালটা ১৯৯২। ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটচিত্র ক্রমশ বদলাচ্ছে।
আরোও পড়ুন : আরজি কর কাণ্ডে বড় খবর! সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার আগেই বিরাট পদক্ষেপ তিলোত্তমার মা-বাবার
মুক্ত অর্থনীতির দুনিয়ায় ভারতেও (India) লাগছে পশ্চিমী ছোঁয়া। কাকার কাছ থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে সেই সময়ে কামাল শুরু করেন একটি টি-শার্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা। সংস্থার নাম দেন Mr & Mr। নিজের বাড়িতেই অফিস খোলেন কামাল। ডিজাইনিং থেকে শুরু করে মার্কেটিং, সবকিছুই নিজের হাতে সামলাতে কামাল।
আরোও পড়ুন : ফের রুশ সেনাবাহিনীতে থাকা ভারতীয়ের মৃত্যু! মস্কোকে বার্তা দিয়ে কড়া অ্যাকশন দিল্লির
এরপর ১৯৯৮ সালে কামাল প্রতিষ্ঠা করেন মুফতি ব্র্যান্ড (Mufti Brand)। এই ব্র্যান্ড বদলে দেয় ভারতীয় পুরুষদের ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে। তবে শুরুর দিনগুলো মোটেই সহজ ছিল না কামালের জন্য। নিজেই গাড়ি করে জামাকাপড় পৌঁছে দিতেন দোকানে দোকানে।২০০০ সালের প্রথম দিকে পুরুষদের জন্য স্ট্রেচ জিন্স ছিল মুফতি ব্র্যান্ডের বড় বাজি।
ধীরে ধীরে গোটা দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে মুফতি। বর্তমানে গোটা দেশে ৩৭৯টি এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোর, ৮৯টি বড় ফরম্যাট স্টোর এবং ১৩০৫ টি মাল্টি-ব্র্যান্ড আউটলেট রয়েছে এই সংস্থার। শূন্য থেকে শুরু করেও যে সফলতার (Success Story) চূড়ায় পৌঁছানো যায় সেই অনন্যা নজিরই সৃষ্টি করেছেন কামাল। নিজের কাজের মাধ্যমে প্যাশনকে পরিণত করেছেন ব্র্যান্ডে।